You dont have javascript enabled! Please enable it!

লাখাই থানা মুক্ত, হবিগঞ্জ

একাত্তরের নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখ। ৩ নম্বর দেক্টর হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন মতিন ইলিয়াস কামালের নেতৃত্বে ৫২ সদস্যের একটি মুক্তিযোদ্ধা দলকে লাখাই অপারেশনে প্রেরণ করেন। ইলিয়াস কামাল কালিকাপুরের সাহেব আলী, দিকনির্দেশনায় শাহজিবাজার হয়ে বুল্লায় এসে রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ করেন। ৮ জন রাজাকারকে হত্যা করবার পর অন্যরা পালিয়ে যায়। ইলিয়াস কামাল, সহযোদ্ধা শফিকুল হোসেন চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম, সালেহ আহমেদ, শাহজাহান, রফিকুল ইসলাম, স্বপন কুমার চৌধুরী, আব্দুক লাদের, সুনশ্বের মুজাহিদ ও মতিসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে বুল্লা রাজাকার ঘাঁটিতে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করেন। এই আক্রমণের খবর পেয়ে লাখাই থানা সদরে অবস্থানরত পাকবাহিনী নৌকাযোগে অষ্টগ্রাম চলে যায়। ফলে ২৯ নভেম্বর লাখাই থানা মুক্ত হয়। তবে বুল্লা অঞ্চলকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করে মুক্তি বাহিনী অত্র এলাকায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন কোনরূপ আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই। প্রশাসনসহ সার্বিক স্বায়িত্ব পালন করেন ইলিয়াছ কামাল। অবশ্য পরে মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান এ দ্বায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!