রুদ্ধনগরের যুদ্ধ, মেহেরপুর
মে মাস জুড়ে ভারতের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-যুবকদের জন্য অভ্যর্থনা ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র খোলা হয়। তবে সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত বাহিনীর টহলও অব্যাহত থাকে। মাঝে মধ্যেই পাকসৈন্যের সঙ্গে গুলিবিনিময়য় ও ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়। কিন্তু মে মাসের ৩ তারিখে মেহেরপুর জেলার তেরঘরিয়া রুদ্ধনগরে পাকবাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত বাহিনীর টহল দলের এক রক্তক্ষয়ী সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে শোলমারী গ্রামের আনসার সদস্য মহরম আলী শহীদ হন। পজিশন পরিবর্তনের সময় পায়ে আঘাত পেয়ে আহত হন শোলমারীর ফরাতুল্লা বিশ্বাস। আহত অবস্থায় পাকবাহিনীর হাতে বন্দী হন ঐ গ্রামেরই দু’জন আনসার সদস্য ইউসুফ আলী ও আজহার আলী। দু’জনকেই ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের পর বেতার ও খবরের কাগজে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে মিথ্যে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়। যুদ্ধচলাকালীন ৯ মাস পাকিস্তানী বন্দী শিবিরে অশেষ অত্যাচারে ভোগের পর দেশে বিজয় অর্জিত হলে তারা মুক্তি লাভ করেন।
[১০৩] রফিকুর রশীদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত