You dont have javascript enabled! Please enable it!

রাজপুর, বাগড়াবাজার ও সুয়াগাজীর যুদ্ধ, ফেনী

ফেনী জেলার দাগনভুঁইয়া থানার রাজপুর ও সুয়াগাজী গ্রাম অবস্থিত। এখানে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। ৪ জুন রাত দুইটায় দিকে ইস্ট বেঙ্গলের এ কোম্পানি ২টি প্লাটুন মারটার সহ গোপনে শত্রু এলাকায় প্রবেশ করে শালদা নদীর দক্ষিণে বাগড়াবাজার নামক স্থানে অবস্থান নেয়। ভোর বেলায় যখন পাকিস্তানীরা যখন তাদের পরিখার উপর অসতর্ক ভাবে ঘোরাঘুরি করছিলো সে সময় মুক্তিবাহিনী অতর্কিত মর্টার ও মেশিনগানের সাহায্যে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। এই আকস্মিক আক্রমণে পাকিস্তানী বাহিনী পুরোপুরি হতচকিত হয়ে যায়। আধ ঘণ্টা যাবত তাদের পক্ষ থেকে কোন পাল্টা জবাব আসেনি। এরপর
তারা আক্রমণের জবাব দিতে শুরু করে কিন্তু তখন অপর পক্ষ থেকে কোন জবাব আসে নি। এই হঠাৎ আক্রমণে পাকিস্তানী বাহিনীর ১৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়। অপর দিকে মুক্তিবাহিনীর ১ জন মুক্তিযোদ্ধার বুকে গুলি লেগে গুরুতর ভাবে আহত হন। এই আক্রমণের ৩ ঘণ্টা পর শত্রু যখন ভেবেছিল মুক্তিবাহিনী তাদের অবস্থান পরিত্যাগ করেছে, তাই তারা আহতদের পিছনে সরিয়ে নিচ্ছিল ঠিক সেই সময় মুক্তি বাহিনী আবার আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানী বাহিনীর আরো ৫ জনকে হত্যা অরে। আর পর মুক্তিবাহিনী অবস্থান পরিত্যাগ করে চলে আসে। ঐ একই দিনে সকাল সাত টার দিকে আরেকটি মুক্তিযোদ্ধার গ্রুপ শত্রুদের রাজপুর অবস্থানের ওপর হঠাৎ আক্রমণ চালিয়ে ৬ জন পাকসেনা খতম করে। আরেকটি দল রাত একটার দিকে কুমিল্লার দক্ষিণে সুয়াগাজীতে চট্টগ্রাম – ঢাকা মহাসড়কে একটি সেতু এবং পরে বাগমারা সেতু উড়িয়ে দেয়।

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!