You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুশরীভূজা সম্মুখক সময়- ভোলারহাট

টহল তৎপরতার অংশ হিসেবে ২৬ জুলাই সোমবার (১১ শ্রাবণ) থানা ভবন থেকে ইপিআর সুবাদার গফুর মন্ডলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী একটি টহল দল বের হয়। ওই দলের দলাদলী-আলমপুর পর্যন্ত টহলে যাবার কথা ছিল। টহল দলে ১৬/১৭ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। পথিমধ্যে মুশরীভূজায় বেলা ৩টা থেকে রাতে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত হানাদার বাহিনীর মেজর ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। থানা ভবনে মুক্তিবাহিনীর কাছে মুশরীভূজায় যুদ্ধের খবর আসার পর হেডকোয়ার্টার থেকে আ. রাজ্জাক রাজা, জয়নাল, তাজা, হাবিলদার গিয়াসসহ ১০/১২ জন যোদ্ধা মুশরীভূজার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মুক্তিবাহিনী এই দলের সাথে সন্ন্যাসীতলায় যুদ্ধ করে ফিরে আসা বীরযোদ্ধাদের সাক্ষাৎ হয় রা প্রায় ৮/৯ টার সময়। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পাকবাহিনীর ২ জন সৈনিক গুরুতর জখম হয় এবং তাঁরা পিছু হটে যায়। মুশরীভূজা অভিমুখে রওয়ানা হওয়া টহল দল ওই রাতে মুশরীভূজা দাঁড়ায় এবং ডিফেন্স স্থাপন করেন। এখানে মোহদীপুর থেকে একদল বাহিনী নিয়ে ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ডিফেন্স অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের দিক নির্দেশনা দেন। এরপর মুক্তিবাহিনী ডিফেন্স ইউথড্র করে থানা ভবনে ফিরে আসে।
[৫৭৪] মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!