You dont have javascript enabled! Please enable it!

মেনিখালি নামক স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদীতে অপারেশন

মনাইকান্দি কবরস্থান থেকে একটু সামনে খালের বাকে ছিল পাকবাহিনী ও রাজাকারদের অবস্থান। ব্রহ্মপুত্র নদীর খাল দিয়ে বাজিতপুরের ধানের নৌকা, চালের নৌকা, মনোহরদীর দোকানের মালামালের নৌকা যেত। রাজাকার ও পাকসেনারা এই নৌকা থামিয়ে। বেপারিদের মালামাল ও টাকা পয়সা লুট করে নিত। না দিলে মারধর করত। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলীর মারফত মুক্তিযোদ্ধারা এই সংবাদ পাওয়া মাত্র ৪ নভেম্বর সকাল ৮টায় হাজরাদী চাঁদপুর কাম্প থকে ছইয়ের নৌকায় চরে মেনিখালের উদ্দেশে রওনা দেন। মেনিখালিতে আসার একটু আগেই মুক্তিযোদ্ধারা আশবাউদ্দীনের নেত্ররত্বে মালামাল বোঝাই নৌকাগুলো তিনভাগে ভাগ করে এরই ভেতর অবস্থান নেন। প্রথম নৌকায় বন্দর থানার কমান্ডার আশাউদ্দিন, আমিনুল ভূঁইয়া, আব্দুল ওয়াদুদ; দ্বিতীয় নৌকায় মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলাম আজিম, আজিজুর রহমান বাবু, রফিকুল ইসলাম রফিক; তৃতীয় নৌকায় আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ আলী, ফরহাদ হোসেন, আব্দুল রশিদ ওঠেন। মেনিখালিতে পৌঁছা মাত্র পাকসেনা ও রাজাক্ররা নৌকাগুলো থামায়। সাথে সাথে আশাবউদ্দিন পাক আর্মিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারাও সমন্বয়ে আক্রমণ চালায়। দু’জন পাক আর্মি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। রাজাকার দুজন সাত্রিয়ে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ শুনে নৌকার মাঝিরা ও অন্যান্য লোকজন পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জার জন্য রাজাকার দু’জনকে চিহ্নিত করে মারা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
[১১০] রীতা ভৌমিক

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ অষ্টম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!