You dont have javascript enabled! Please enable it!

বোয়ালমারী থানা আক্রমণ, ফরিদপুর

১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। ঐ দিনকে সামনে রেখে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা আক্রমণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তিনটি মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ এই অপারেশনে অংশগ্রহণ করে। আবদুর রাজ্জাল-আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ আব্দুল জলিল বিশ্বাসের গ্রুপ। ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত্রে তিন গ্রুপ তিন দিক থেকে অগ্রসর হয়। মুক্তিযোদ্ধারা সম্মিলিতভাবে গুলিবর্ষণ এবং সেই সঙ্গে গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে থাকে। এবং মাঝে মাঝে চোঙ দিয়ে তাদের আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হয়। দুই ঘন্টা গুলিবিনিময়ের পর ১৪ আগস্ট সকালে পুলিশ বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। পুলিশদের পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা না করার অঙ্গীকার করিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ঐ যুদ্ধে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়। প্রায় ২০টি রাইফেল উদ্ধার হয়। জনগণ জয়বাংলা ধ্বনি দিতে দিতে মুক্তিযদ্ধাদের সঙ্গে থানায় প্রবেশ করে। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা থানার অদূরে অবস্থিত ন্যাশনাল ব্যাংকে ভেঙে টাকা, স্বর্ণ ও প্রাইজবন্ড নিয়ে যায়।
[১৫] আবু সাঈদ খান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!