বেনাপোলের যুদ্ধ, যশোর
বেনাপোল বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে যোগাযোগ স্থাপনকারি একটি সীমান্ত শহর। আশেপাশের অন্যান্ত গ্রামের মাঝখানে এই ক্ষুদ্র বন্দর শহরটি মুলত যশোর বনাপোল সড়ককে কেন্দ্রর করেই গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাফল্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভুমিকা রয়েছে আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের। আমাদের মুক্তযুদ্ধে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে ভারতের এ সহায়তা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এসে পৌছেছে বিশেষত বেনাপোলস্থ বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত দিয়ে পাকিস্থান সেনাবাহিনী যদি বেনাপোলে তাদের শক্ত অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারত তবে হুত নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন কষ্টকর হত। ১৮ এপ্রিল বেনাপোলে তৎকালীন মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর সদর দপ্ত্র স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে এটি ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ ও ব্রিটিশ এমপি মি ডগলাসম্যানের আলোচনা কেন্দ্ররুপে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক তৎকালীন কর্নেল (জেনারেল) এম এ জি ওসমানী যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য প্রতিবেশি রাষ্টেড় সাথে সমন্বয় কেন্দ্র হিসেবে বিশেষত বেনাপোলকে ব্যবহার করতেন। তাছাড়া মেজর আবু ওয়সমান চৌধুরী মুক্তিসেনাদের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র,গোলাবারুদ,রশদ এবং প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আইজির সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতেন বেনাপোলের মাধ্যমে। তাই এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সফলতার জন্য বেনাপোল যুদ্ধের ভুমিকা ব্যাপক ছিল।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত