বুড়িচং আক্রমন, কুমিল্লা
কুমিল্লার বুড়িচং থানা খালেদ মোশারফের যুদ্ধ পরিচালনায় বাধার কারন হয়ে দাঁড়ায় ইপকাফ এবং পাক পুলিশ কারন বুড়িচঙ্গের ভিতর দিয়ে গেরিলারা গোপন পথে ঢাকা,কুমিল্লা ও ফরিদপুরে যাতায়াত করত।এ থানাটির কারণে গোপনে পথগুলো মুটেই নিরাপদ ছিলো না। পশ্চিম পাকিস্থানী পুলিশরা পাকসেনাদের খবরাখব পাঠাত।খালেদ মোশাররফ ১৬জনের একটি গেরিলা দল বুড়িচং থানার উপর আক্রমণের জন্য খবর পাঠান। ১৪ জুন রাত ১টায় গেরিলা দলটি বুড়িচং থানার উপর আক্রমণ চায়াল।থানায় প্রহরারত ইপকাফ এবং পুলিশ ব্যাপক বাঁধা দেয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁরা গেরিলাদের হাতে পরাস্ত হয়।এই সংঘর্ষে শত্রুদের ৮জন নিহত হয়।গেরিলাদের ১ জন আহত এবং কয়েকজন নিখোজ হয়।এই আক্রমণের ফলে বুড়িচং থাকা শত্রুমুক্ত এবং ঢাকা কুমিল্লা যাওয়ার গোপন পথ নিরাপদ হয়।
[১৮] আবুল কাশেম হৃদয়
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত