You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাহুবল থানা আক্রমন, হবিগঞ্জ

নভেম্ভর মাসের শেষে দিকে ভাটি এলাকা থেকে বাঙালি মুক্তিযোদ্ধারা পাকিসস্থানী বাহিনীকে তাড়াতে অনেকটা সক্ষম হয়।যদিও তাদের দোসররা তখনো ভাবতে পারেনি আর মাত্র কয়েকদিন তখনো ভাবতে পারে নি আর মাত্র কয়েকদিন পর বাঙালি জাতি তাদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবে। জাতীয়ভাবে। হবগঞ্জের বাহুবল থানা সদরে তখনো পাকিস্থানী বাহিনীর পুরো রাজত্ব/তাই এলাকাটাকে মুক্ত করবার জন্য৫ নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর বালাটে বয়সে কিভাবে মুক্ত করা হবে তাঁর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। অপারেশন করবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম। সহযোদ্ধা হিসেবে নির্ধারিত করেন মো আব্দুর রউফ,আবদুল গনি।মফিল উদ্দিন ও ময়না মিয়াসহ ৩০জন মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গে নিলেন প্রচলিত অস্ত্র রাইফেল,স্টেনগান,এসএমজি, এলএমটি ও গ্রেনেড।পরিকল্পনা অনুযায়ী মানচিত্র ও পথপ্রদশক সংগ্রহ করে বাহুবলের উদ্দেশ্যে রওয়না হন।মুক্তিসেনারা কোনো প্রকার বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই বাহুবল থানার স্লানঘাট ইউনিয়নের খাগাউড়া গ্রামে পৌছে। কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরীর গ্রাম খাগাউড়ায় তখন কোন রাজাকার ছিল না।বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা ড মুজিবুর রহমান চৌধুরী এর সাঙ্গগঠনিক ততপরায় এই লাকাটিকে মুক্তিবাহিনীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত ছিল।গ্রাম্বাসী মুক্তিযোদ্ধাদের রাতের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিল।এখানে অবস্থান করে বাহুবল সম্পর্কে আরোও ধারণা নিলো মুক্তিবাহিনিরা।পাকিস্থানী বাহিনী বাহুবল থানা ভবনকে ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করত। ৩ ডিসেম্বর রাত ৮টায় খগাউড়া থেকে থেকে বাহুবলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ৫ কিলোমিটার জলপথ নৌকায় ও দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে রাত ৪ টায় ভবনের কাছে নিরাপদ স্থানে পৌঁছান। তারপর শুরু হল আক্রমন।পাকিস্থানী বাহিনী তাদের ভারী অস্ত্রের পালটা গুলি করে। যুদ্ধে পাক বাহিনী টিকে থাকতে না পরে প্রায় দেড় ঘন্টা পরে শায়েস্তাগঞ্জের দিকে পলায়ন করে।পরদিন ৪ ডিসেম্বর থেকে বাহুবল হানাদার মুক্তহয়। তিনজন বাঙালি পুলিশ মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।এই যুদ্ধে পাকিস্থানী বাহিনীর ক্ষতি হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের খুব বেশ ক্ষতি হয়নি।
[৬৩] মাহফুজুর রহমান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!