বিওসি কেছিরীগুল অপারেশন
বিওসি কেছরীগুলে প্রায়ই যুদ্ধ বাধত শত্রুর বিরুদ্ধে। পাকহানাদাররা এ অঞ্চলের নিয়ত্রন লাভের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল। মুক্তিযুদ্ধোরা ছিলেন হারতে নারাজ। ফলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ঘটনা ঘটত প্রায়ই।গোলাগোলির বিনিময় ছিলো নিত্য দিনের ঘটনা। বি ও সি কেছরীগুলে সবচেয়ে বড় যুদ্ধটি বাধে সেপ্টেম্বর মাসেইল।এখানে একটি ক্যাম্প গড়ে তুলেছিলেন আনছার মুজাহিদ কমান্ডার মস্তকিন আলী।মূলত গেরীলা আক্রমণে ততপর ছিল এ দলটি।মসতকিন আলীর দুধরষ ভুমিকায় সস্ত্রস্ত পাকহানাদাররা তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করে নিজ বাড়ি ইনাই গ্রাম থেকে।তাকে চরম নিষ্টুরভাএ মৃতপ্রায় করে ছেড়ে দেয় সৈন্যরা। এ ঘটনা মসতকিন আল্কে উত্তেজিত করে তোলে। সিদ্ধান হয় করামত নগর ক্যাম্প আক্রমণের।তিনি যোগাযোগ করেন কুকিরতল সাবসেক্টরের কমান্ডারের সাথে।মেজর আমিনুল হক এবং অপারেশনে পাঠান মেজর শরিফুল হক ডালিম।আগরতলা থেকে রাতের শেষ প্রহরে বি ও সি এলাকায় ঢুকে পড়েন মুক্তিযোদ্ধারা।সকাল৭টায় অপারেশন শুরু হয়। অপারেশনেই পূর্বেই মস্তকিন হানাদার ক্যাম্পের টেলিফোন বিচ্চিন্ন করে ফেলেন।এ অপারেশনে আটিলারি পার্টি সক্রিয় ছিল ৫নং খাশিয়া বারিতে একটি শয়তান ছড়া আব্দুস শহীদ মিরার বাড়িতে একটি এবং ঙ্কড়ি নদীতে একটি আরটিলারি দল অবস্থান করে।মেজর আমিনুল হক আরটিলারি ক্যাম্পেন হিসেবে ছিলেন।অন্য একটি গেরিলা দল অগ্রবরতী দল হিসেবে ক্যাপ্টেন মুসলিম উদ্দিন্দের নেতৃত্বে অগ্রসর হয় করামত নগর ক্যাম্প এলাকায়।পরিকল্পনা অনুযায়ী শুরু হয় প্রচন্ড আক্রমন।আক্রমনের আকস্মিকতায় পরাজিত হয় শত্রু সেনারা। ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা।এভাবেই সফল হয় অপারেশন।
[৯৩] মোস্তফা সেলিম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত