বামনার যুদ্ধ, বগুড়া
বামনা বরগুনা জেলার অন্তর্গত একটি থানা।বামনা থানার উত্তরে ঝালকাটি জেলা,দক্ষিনে বরগুনা সদর থানা,পূরবে বেতাগী থানা এবং পশ্চিমে পিরোজপুর জেলা অবস্থিত।এই থানার উত্তর পূর্ব পার্শ্বে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বিশখালী নদী। নদীটি স্থানে স্থানে প্রায় ৪০০-৫০০ মিটার প্রস্থ এবনগ খুব গভীর খরস্রোতা।নদীটি বগোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। এই এলাকাটি দক্ষিণাঞ্চের অন্যান্য এলাকার মতো একই রকম।নবরিশালের সদর থেকে বামনায় যায়ার রাস্থা হলোঃ ক)বরিশাল-নাবখান ব্রিজ-ভান্ডারিয়া-কবরখালি-মটবাড়িয়া হয়ে বামনা(মোট দূরত্ব ৮০কিলোমিটার)।খ)বরিশাল-পটুয়াখালি-মির্জাগঞ্জ হয়ে বামনা (মোট দুরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার)। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের দিকে পাক বাহিনীর সদস্যরা প্রায়ই বিষখালী নদীপথে তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য টহল পরিচালনা করত।পাকবাহিনী মাঝে মাঝে বামনা থানায় আগমন করত এবং সেখান থেকে পুলুশ ,আনসার এবং রাজাকারদের সহযোগীতায় পায়ে হেঁটে পরিচালনা করে আসছিল। বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় যে,পাকিস্থানী বাহিনী বামনা বাজারে ঠল পরিচালনার সময় নিরীহ জনগনের ওপর অত্যাচার চালাত। পাকবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল অক্টোবর মাসের পর থেকে নিয়মিত গান বোটে করে বিশখালী নদীতে ঠল পরিচাল্লনা করে মুক্তিবাহিনীর কার্যক্রমের উপর নজর রাখছিল।বামনার বুকাবুনিয়া ল্যান্স কর্পোরাল(পরবর্তীতে সারজেন্ট) লতিফের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিং পরিচালনা এবং ভারত থেকে কমান্ডার আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে কতিপয় প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত যোদ্ধার উপস্থিতির খবর পেয়ে পাকসেনারা নভেম্ভবর মাসে তাদের নৌ টহল কার্যক্রম আরোও জোরদার করে। ১৮ নভেম্বর ১৯৭১ সাল পরিকল্পিত অবস্থান থেকে জহির শাহ আলমগীরের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি গানবোট অগ্রসর হচ্ছে।তখনই মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার জহির শাহ আলমগীরের বামনা থানা আক্রমণের পরিকল্পনা কিছুটা পরিবর্তন কো করে খোল পটুয়া নামক স্থানে পাকিস্থানী গানবোটের উপরে অ্যাম্বুশ পরিচালনা করে।পাকসেনারা এ ধরএর একটি অতর্কিত আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিলো না।অনুরূপভাবে ১৯ নভেম্বর পাক বাহিনীর আরোও একটি গানবোটের কপর আক্রমণ করে তাদের সমূলে ধ্বংস করে। বিষখালী নদীর খোলপটুয়া নামক স্থানের এই যুদ্ধটি বিষখালীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধের ফলে পাকবাহিনীর প্রায় ১২ জন সদস্য নিহত হয়।অন্যদিকে মুক্তিবাহিনীর মনোবল আরো বেড়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০ নভেমবর ভোট ৪টায় সকল দল নিজ নিজ অবস্থান গ্রহণ করে। ভোট ৫টায় ১ নং গ্রুপ কমান্ডার সেলিম সরদার খালের উত্তর পাড় থেকে ফায়ার শুরু করে আক্রমণের সূচনা করে।অন্যান্য গ্রুপের ফায়ার শুরু করার জন্য এটিই ছিলো সংকেত।শুধুমাত্র রিজার্ভ ফোরস ব্যাতীত।তখন রিজার্ভ ফোরস অন্যান্য দলকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রস্তুত।প্রায় ৪৫ মিনিট পর ১নং গ্রুপ খাল পার হয়ে এবং অন্যান্য গ্রুপ এগিয়ে এসে থানার কাছে চলে আসে। এবং পরপর কয়কটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কিছু সংখ্যক শত্রু নুহয় হয়। এই গ্রেনেড নিক্ষেপই মূলত যুদ্ধের সময় কমিয়ে আনে।আনুমানিক ভোট ৬টায় সূর্য ওঠার পর পুলিশ এবং আনসারের ২৫জন সদস্য আত্নসমর্পণ করে।এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী কতৃক ৩০টি রাইফেল,২টি এলএমজি ও ২টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত