You dont have javascript enabled! Please enable it!

বান্ধ্যাইদ্যার যুদ্ধ, নরসিংদী

শিবপুরে এসেই পাঞ্জাবিরা ‘মেসাকার’ শুরু করল।চক্রাধা গ্রামের কৃষক নেতা রব খানের বাড়ি পর্যন্ত গেল এবং সাত্তার নামক এক যুবকেকে ধরে নিয়ে এলো।
যুবকদের ওপর তাদের ভীষন রাগ,এরাই সব অনর্থের মূল।এসব করে এরা যখন নরসিংদী প্রত্যাবর্তনের করছে তখন বান্ধ্যিদ্যা ব্রিজের নিকট ক্কখ্রিপ্র গতিতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের তাখমন করল। মজনু মৃধার নেতৃত্বে একদল সাহসী যোদ্ধা পাঞ্জাবিদের হচকচিকে দিয়ে প্রচন্ড বেগে আক্রম চালিয়ে পাকবাহিনীর ধারণা পালটে দেয়, প্রত্যক্ষ যুদ্ধ সম্নদ্ধে সমক্য ধারণা তখনো কারো হয়নি।এই অবস্থায় বৃহত্ত্র ঢাকায় মুতকিযোদ্ধাদের এটিই সম্ভবত প্রথম সংগঠিত আক্রমন।আর এই আক্রম্নের সংবাদ সে সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ফলাও করে প্রচারিত হয়। অনবিজ্ঞ মুক্তিযোদ্দধাদের প্রথম এই আক্রমণে কেউ নিহত না হলেও আহত হয় অনেকে এবং অয়াকবাহিনী এতে এমনি বেকায়দায় ছিল যে, তাঁরা একটি গুলি ছোঁড়ারও সুযোগ করতে পারেনি।কোনোক্রমে জাঙ বাচিয়ে পালিয়ে যায়।এই আক্রমণে মজনু মৃধ্যার সাথে ছিল মুজিবুর রহমান,খোকন,ইপিয়াররের হারুন,সাঈদুর,এম এম ভুইয়া প্রমুখ।যাইহোক।বেঘোরে মার খাওয়ার প্রতিশীধ নেয়ার জন্য পরদিন ওদের বড়সড় একটি দল পুনরায় বান্ধ্যাইদ্যা আসে এবং নিরীহ জনসাধারনের কপর অকথ্য অত্যাচার চালায় ও বাড়িঘর পোগ্রানোর পোরামাটি নীতি অনুসরণ করে।মুক্তি বাহিনীর সে সময়ের শক্তি ও সামর্থ্যে সেই সূচনাপর্বে শত্রুর এই বড় দলকে মোকাবেলা করার কোনো প্রশনই আসেনি।
[১২৭] সিরাজ উদ্দীন সাথী

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!