You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাতেন বাহিনী

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাতেন বাহিনী অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাহিনীর প্রধান ও প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আবদুল বাতেনের নাম অনুসারে এ বাহিনী ইতিহাসের পাতায় বাতেন বাহিনী নামে খ্যাতি লাভ করে। বাতেন বাহিনী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বহু যুদ্ধে অংশগ্রহন করে অজস্র হানাদার সৈন্য ও তাদের সহযোগীদের নিধন করে। দক্ষিণ টাঙ্গাইলের কনোরা গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও এই বাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্র ছিল সমগ্র দক্ষিণ টাঙ্গাইলসহ ঢাকা জেলার কিছু অংশ , গাজীপুর জেলার কিছু অংশ , মানিকগঞ্জ জেলার উওর অঞ্চল এবং পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ব্যাপক অংশ বাতেন বাহিনী উল্লেখযোগ্য যুদ্ধের মধ্যে ছিল মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানা আক্রমণ, দৌলতপুর থানা আক্রমণ, ঘিওর থানা দখল , সাটুরিয়া থানা দুইবার আক্রমণ, চৌহালী অভিযান , নাগরপুর থানা মুক্ত করা , ধল্লার ব্রীজ আক্রমণ মানিকগঞ্জের জাবরা ব্রীজের নিকট হানাদারদের গানবোট আক্রমণ ও খাসকাউলিয়ায় রাজাকার নিধন। বাতেন বাহিনীতে সাড়ে তিন হাজার সশস্র যোদ্ধা ছিল। একুশটি কোম্পানীর সমন্বয়ে বাতেন বাহিনী গঠিত হয়েছিল। এই বাহিনীতে তেষট্টি প্লাটুন এবং একশটি সেকশন ছিল। বাতেন বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডারগণ ছিলেন মেজর আবু তাহের , নায়েক হুমায়ুন কবীর খান, নায়েক আব্দুস সামাদ,নায়েক সিরাজুল হক খান,নায়েক ওয়াজেদ আলী খান নায়েক আব্দুল খায়ের,সুবেদার আলমগীর,মোঃ দেলোয়ার হোসেন হারিজ,মোঃহ্যমায়ুন কবীর খান,মোঃ বেলাল হোসেন,মোঃ নুরুল ইসলাম,আমিনুর রহমান খান,মোঃ আফজাল হোসেন,মোঃ আল্লাহ খান,মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন,মোঃআবু কায়সার ও মোঃকফিল উদ্দিন। সুবেদার মেজর আব্দুল বারী ছিলেন বাতেন বাহিনীর ফিল্ড কমান্ডার।এই বাহিনীর তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিলো ১-মানিকগঞ্জ জেলার আটুরিয়া থানার অন্তর্গত তিল্লী গ্রাম,২-টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার অন্তর্গত লাউহাট, ৩-টাঙ্গাইল জেলার নাগপুর থানার অন্তর্গত শজানির চর।বাতেম বাহিনীর যোদ্ধাদের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ ছিল।এই বিভাগের দায়িত্ব যারা পালন করেন বা যোদ্ধাদের যারা সামরিক প্রশিক্ষণ দেন তাঁরা হলেনঃসুবেদার মেজল আবু তাহের,সুবেদার আবদুল বারী,নায়েক হুমায়ুন কবীর খান,নায়েক আব্দুস সামাদ,নায়েক সিরাজুল হক খান,নায়েক ওয়াজেদ আলী খান,নায়েক আব্দুল খায়ের ও সুবেদার আলমগীর।বাতেন বাহিনীর কোয়াটার মাস্টার ছিলেন খন্দকার আব্দুল করিম।বাতেন বাহিনীর বেসামরিক প্রশাসন পরিচালনার জন্য একটি বিভাগ ছিলো।এই বিভাগ বেসামরিক বিভাগ নামে পরিচিত ছিলো।বেসামরিক বিভাগের কাজ ছিলো মুক্ত এলাকায় বেসামরিক শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা।বেসামরিক বিভাগের প্রধান ছিলেন অধ্যাপক আলী আকবর খান ডলার।এই বিভাগের সচিব ছিলেন মহিদুর রহমান খান আলমগীর।বেসামরইক বিভাগেকে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা কয়েছে।যেমন, ১-নিরাপত্তা বিভাগ,২-খাদ্য বিভাগ,৩-অর্থ বিভাগ,৪-বিচার বিভাগ ও গনসংযোগ বিভাগ,৫-রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বিভাগ।১-নিরাপত্তা বিভাগঃ নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন উপেন্দ্রনাথ সরকার বিএসসি,খন্দকার,আব্দুস ছালাম,মীর শামসুল আলম,শাহজাদা,আমিনুল ইসলাম খান,মোঃসহিদুল ইসলাম,আব্দুল আলীম খান সেলীম,শহিদুল হক খান মল্লিক,মোঃসুলতান উদ্দিন আহমদ,খালেদ খান যুবরাজ,মোঃইউনুস খান,মোঃশামসুল মোঃমেজবা উদ্দিন নয়ন,মো আবদুর গফুর খান,মো নুরুল ইসলাম,ইস ইম শামসুল হুদা,মো রোস্তম আলী,মোঃমানিক,মোঃশাহজাহান,মোঃরেজাউল বারী খান,খন্দকার এজাজ রসূল(জানু),মোঃহাসমত আলী খান,মোঃরফিকুল ইসলাম খান,আব্দুস হাসেম খান ঠাগু,অধ্যাপক আলী হাসান,মোঃসাইদুল ইসলাম খান,মোঃশাহজাহান মাস্টার,আনন্দ মোহন দাস,ডঃ মোঃশাহজাহান,মোঃশাহজাহান(গ্যান্ডা),বাবুস বৈষ্ণব বিশ্বাস,মোঃআলী জিন্না,মোঃআবতাব হোসেন আরজু,খন্দকার লুতফুর রহমান মিন্টু,শী গৌর চন্দ্র সাহা,মোঃ বেনজির আহমদ আলমাস,আব্দুল করিম খান,আমিনুর রহমান খান(মজিবর),মো শাহজাহান খান(ওয়ারলেস),মোঃবজলুর রহমান খান(সাবু),মোঃশরিফ উদ্দিন,মোঃআফতাব উদ্দিন,বাবু নুপুর পোদ্দার প্রমুখ.২-খাদ্য বিভাগঃ এই বিভাগের দায়ত্বে ছিলেন অরুপ কুমার বোস(বরুণ) ও আব্দুর রাজ্জাক খান.৩-অর্থ বিভাগঃএই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন খন্দকার আব্দুস সালাম ও আব্দুর রৌফ.৪- বিচার ও গনসংযোগ বিভাগঃএই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন খন্দকার আব্দুস সালাম,মীর শামসুল আলম শাহজাদা ও মোঃ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।৫-রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বিভাগঃএই বিভাগের দায়িত্ব ছিলেন অধ্যাপক আলী আকবর খান ডলার।মহিদুর রহমান খান আলমগীর,খন্দকার আব্দুস সালাম,মীর শামসুল আলম শাহজাদা,বাবু উপেন্দ্রনাথ সরকার বিএসসি,অধ্যাপক আলী হাসান। অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন খান ছিলেন রাজনৈনিতক প্রশিক্ষণ বিভাগের উপদেষ্টা।বেসামরিক বিভাগের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিলেন মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান চারু ও মোঃআলম খান।যুদ্ধক্ষেত্রে আহত বা অসুস্থ যোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য বাতেন বাহিনীর ভ্রাম্যমান হাসপাতাল ছিলো। ভ্রাম্যমান হাসপাতালের চিকিৎসকের দায়িত্বে ছিলেন বেঙ্গল রেজিমেন্টের চিকিৎসক ডা জহিরুল ইসলাম এবং তাঁর সহকর্মী ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের ডা বসন্ত কুমার সাহা ও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা নিখিল চন্দ্র সাহা।এই হাসপাতালের সেবিকা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন আঙ্গুরী রাণী সরকার।বাতেন বাহিনী নিজস্ব এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যুদ্ধস বিভিন্ন প্রকারের সংবাদ আদান প্রদান করার জন্য অগ্নিশিখা নামে পত্রিক্যা প্রকাশ করত।
খনকার আব্দুল বাতেন ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে একজন তুখোড় ছাত্রনেতা।ঐ সমমে তিনি টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের(একাংশের) সভাপতি এবং সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি। তিনি ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিক থেকেই টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালান।জেলার বিভিন্ন থানার বিভিন্ন কলেজে জয় বাংলা বাহিনী,জয় বাংলা ক্যাম্প ও স্বাধীনতার ইস্তেহার প্রচার করেন খন্দকার আব্দুল বাতেন.১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকালে ইপিআর বাহিনীর ওয়ারলেস কর্তৃক ট্রান্সমিট করা বঙ্গবন্ধুর শেষ বার্তা এস এম রহমান নামে খন্দকার আব্দুর বাতেনের হস্তগত হয়।সেই বার্তা পাওয়ার পর তিনি নতুন উৎসাহ-উদ্দিপনা নিয়ে সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ জেলার বিভিন্ন থানায় মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন.১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল হানাদার বাহিনীর টাঙ্গাইল শহরে প্রবেশ করার পর খন্দকার আব্দুল বাতেন জেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলার জন্য জীবনকে বাজি রেখে ঝড়ের গতিতে তৎপরতা চালান।এক পর্যায়ে তিনি তাঁর নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলে জেলার নাগপুর থানার অন্তর্গত কনোড়া গ্রাম যান।গ্রামে এসেইন খন্দকার বাতেন তরুন,তাজা যুবক এবং অস্রের সন্ধানে বের হন।তাঁর মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলার সংবাদ পেয়ে গ্রামের বেশ কিছু তরুন,যুবক প্রচন্ড উৎসাহ-উদ্দিপমা নিয়ে এগিয়ে আসেন,এই সমস্ত যুবকদের মধ্যে ছিলেন আবুল কালাম আজাদা(শাহজাহান),মোঃদেলোয়ার হোসেন হারিজ,আবতাব হোসেন আরজু,মোঃআলী জিন্না,উপেন্দ্রনাথ সরকার বিএসসি,খন্দকার আব্দুস ছালাম,খন্দকার আব্দুল করিম,মেজবা উদ্দিন নয়ন, আব্দুর রশীদ,কাজী ওয়াজেদ আলী,আব্দুল মান্নান ফিরোজ,মীর শামসুল আলম শাহজাদা,মো শাহজাহান ওরফে গ্যান্ডা,মীর জাগাঙ্গীর,মীর কায়সার,মোঃবেলাল হোসেন,মোঃজাহাঙ্গীর আলোম,মোঃআব্দুল কুদ্দুছ।খন্দকার আব্দুল বাতেনের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করার সংবাদ পেয়ে এগিয়ে আসেন টাঙ্গাইল জেলার দেলদ্যার থানা লাউহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান খান ওরফে কামাল খান।বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংরামকে শক্তিশালী করার জন্য আতোয়ার রহমান খান ওরফে কামাল খান খন্দকার আব্দুল বাতেনকে ম্যাগাজিন ছাড়া ৪টা রাইফেলের সন্ধ্যান দেন।ঐ রাইফেল চারটি লাউহাটির পার্শ্ববর্তী গ্রাম তারুমিয়ার এক ডবায় পাট পচা পানির নিচ থেকে খন্দকার আব্দুল বাতেন তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে তুলে আনেন।ম্যাগাজিন ছাড়া চারটি রাইফেল আর এলাকার কয়েকজন দুঃসাহসী যুবককে নিয়ে খন্দকার আব্দুল বাতেন শুরু করেন মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলার কাজ।তাঁর মুক্তি বাহিনী গড়ে তোলার সংবাদ শোনে অতি দ্রুত বিভিন্ন স্থান থেকে বহু দুঃসাহসীক যুবক তাঁর সঙ্গঠনে যোগ দেয়ার জন্য ছুটে আসে।যেমন বিশ্ববিদ্যালয়,কলেজ,স্কুলের ছাত্র আসতে শুরু করে তেমনি আসতে শুরু করে কৃষক,শ্রমিকসহ সাধারণ যুবক।এর পাশাপাশি আসতে থাকে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য,ইপিআর বাহিনীর সদস্য,পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।তাদের অনেকেই সঙ্গে নিয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র।খনদকার আব্দুল বাতেনের মুক্তি বাহিনী গড়ে তোলার খবর শোনে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার থানার গজিয়াবাড়ি গ্রামের দুঃসাহসীক যুবক ফজলুল হক মল্লিক একটি চাইনিজ এলএমজিসহ কিছু অস্ত্রসস্ত্র ও বেঙ্গল রেজিমেন্টের কিছু যুবককে সঙ্গে নিয়ে বাতেন বাহিনীতে যোগদান করেন। আরোও আসেন টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার পাকুল্লা গ্রামের বেঙ্গল রেজিমেন্টের সুবেদার আব্দুল বারী,নায়েক আজহারুল ইসলাম ও ল্যান্স নায়েক মজিবুর রহমান তালুকদার মন্টু।এ সময় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জোয়ান বেশ কিছু চাইনিজ রাইফেল,গোলাবারুদ ও অএঙ্কগুলি গ্রেনেড সঙ্গে নিয়ে আসেন। এধরনের বিভিন্ন শ্রেনীর যুবকদের যোগদান করার ফলে বাতেন বাহিনী ক্রমশইন শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হতে শুরু করে।বাতেন বাহিনীকে আরোও শক্তিশালী করে তোলার জন্য এগিয়ে আসেন অধ্যাপক আলী আকবর খান ডলার।তিনি তাঁর মহিদুর রহমান খান আলমগীরসহ বহু যুবককে নিয়ে আসেন। এর ফলে বেতেন বাহিনীতে অসংখ্য যুবকের ভিড় জমে যায়,একদিকে বিভিন্ন স্থান থেকে যুবকদের আগমন অন্যদিনে বেঙ্গল রেজিমেন্টের ও ইপিআর পুলিশের অস্রসস্ত্রসহ আগমনে অতি অল্প সময়ের মধেয়ি খন্দকার আব্দুল বাতেন এক বিশাল বাহিনীর গড়ে তুলতে সক্ষম হন।মাত্র চারটি রাইফেল আর কয়েকজন যুবককে নিয়ে বিশাল বাহিনী গড়ে তোলার পিছনে ছিলো খন্দকার আব্দুল বাতেনের একনিষ্টতা ও দক্ষ, নেতৃত্ব।তিনি প্রবাসী সরকার বা ভারতী সরকারের সহযোগিতা ছাড়াই নিজীর শক্তি,সামর্থ্য ও যোগ্যতা দিয়ে এই বিশাল বাহিনী গড়ে তুলেন। এই বাহিনীকে বলা চলে ভারতীয় সরকার ও পবাসী সরকার কোনো প্রকার সহযোগিতা করেনি।খন্দকার আবুল বাতেন তাঁর বাহিনীকে শক্তিশালী করেন বিভিন্ন স্থান থেকে হানাদার বাহিনীর অস্রসশ্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে এনে।খন্দকার আব্দুল বাতেন ১৯৭১ সালের মে মাসের প্রথম দিক থেকে হানাদার হাবিনীর ওপর আক্রমন পরিচালনা শুর করেন।মে মাসের চার তারিখে খন্দকার আব্দুল বাতেন তাঁর বাহিনী নিয়ে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানা আক্রমণ করেন।এই সিঙ্গাইর থানা আক্রমণের পরিকল্পনা কার্যকরী করার জন্য বাহিনীর প্রধান খন্দকার আবুল বাতেন নৌকাযোগে তাঁর বাহিনী নিয়ে সিঙ্গাইর প্রবেশ করেন।তার সঙ্গে ছিলেন সুবেদার আব্দুল বারী,আব্দুল কালাম আজাদ(শাহজাহান),মোঃদেলোয়ার হোসেন হারিজ,মোঃফজলুল হক মল্লিক,আব্দুর রশীদ,মো আলী জিন্না আবতাব হোসেন আরজু,নায়েক আব্দুস সামাদ,হরমুজ আলী বিএসসি,নায়েক আঝারুল ইসলাম,নায়েক হুমায়ুন,নায়েক আলাউদ্দিন,নায়েক সিরাজুল হক,ইপিআর বাহিনীর সদস্য বাবুল চৌধুরীসহ আরোও অনেকে।ঝড়-বৃষ্টির রাতে ১টার সময় আক্রমণ করা হয়।খন্দকার আবুল বাতেন তাঁর হাতের চাইনিজ স্টেনগান দিয়ে গুলি ছুড়ে আক্রমণের সূচনা করেন।অধিনায়কের গুলি ছোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গীরাও গুলি ছুড়তে শুরু করে।
[২৬৩] তপন শিকদার

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!