You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাখুন্ডা ব্রিজ ধ্বংস, ফরিদপুর

২১ অক্টোবর নৌকামান্ডো আবুল কাসেম,মোহাম্মদ আলী ও মীর আফতাবের নেতৃত্বে সুবৃহৎ ফরিদপুরের বাখুন্ডা ব্রিজ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। ব্রিজের পাশে বাঙ্কারে রাজাকাররা প্রহরায় ছিল।হামিদ কমাদ্দারের নেতৃত্বে অগ্রবরতী একটি দল এসে গ্রেনেড চার্জ করলে রাজাকাররা পালিয়ে যায়।তারপর নৌকামান্ডোরা নৌকাযোগে গিয়ে ব্রিজের নিচে দুটি পিলারে ১৫০ পাউন্ড এক্সপ্লোসিভ সেট করে এবং প্রায় ৫০০ফিট দূরে গিয়ে তারে অগ্নিসংযোগ করা হয়।এর ৫ মিনিটের মধ্যে বিকট আওয়াজ্রে বিস্ফোরণ ঘটে এবং ব্রিজের দুই-তৃতীয়াংশ পড়ে যায়।এটা ছিলো আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা।এ ঘটনায় জনগন ও মুক্তিযোদ্ধারা আশ্বাসিত হয়ে ওঠে।অপরদিকে পাকসেনাদের চলাচল মারাত্মক বাধার সম্মুখীন হয়।মোহাম্মদ আলীর বর্ণনা অনুযায়ী ইতিপূর্বে আরেকবার বাখুন্ডা ব্রিজটি উড়িয়ে দেয়ার জন্য এক্সপ্লোসিভ সেট করা হয়েছিলো কিন্তু এক্সপ্লোসিভের পরিমাণ কম হওয়ায় তা ব্যর্থ হয়।পরে নতুবদিয়া ক্যাম্পে এসে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও হেমায়েত উদ্দিন তালুকদারকে অবহিত করা হলে তাদের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন গ্রুপ হতে এক্সপ্লোসিভ একত্রিত করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।এ অপারেশনে নৌকামান্ডো গ্রুপটি ছাড়া নগরকান্দার হামিদ জামাদ্দার,হরিদাস শাহজাহান,কানাই,সালাম,সিঙ্ঘপ্রতাপএর সাখাওয়াত হাসান,রামনগরের গিয়াস উদ্দিন মন্ডল প্রমুখ অংশ নেন। একাধিকবার ব্রিজটি পরিদর্শন করে রাজাকারদের অবস্তানের তথ্যাদি প্রদান করেন নগরকান্দা থানাধীন বিভাগদী স্কুল শিক্ষক আবদুর রশীদ খান।
[১৫] আবু সাঈদ খান

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!