বশির আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার (পিএ-১৮৯৭)
তাহের, ক্যাপ্টেন, পদঃ সিএএফ
স্থানঃ ঢাকা, কেরানীগঞ্জ।
অপরাধঃ মেজর জেনারেল জামশেদ প্রাদেশিক রাজধানী রক্ষার দায়িত্ব দেয় ব্রিগেডিয়ার বশিরকে। সুতরাং ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে পরবর্তী ন’মাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ ঢাকার সকল গণহত্যা, যুদ্ধপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ব্রিগেডিয়ার বশির সরাসরি অভিযুক্ত।
বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী জল্লাদ আশরাফুজ্জামান খানের ডায়েরীতে তার সাথে যোগসাজশকারী হিসেবে বহু হত্যাযজ্ঞের নায়ক ব্রিগেডিয়ার বশির ও ক্যাপ্টেন তাহেরে নাম পাওয়া যায়। ২ এপ্রিল রাতের আঁধারে ব্রিগেডিয়ার বশিরের নির্দেশে ক্যাপ্টেন তাহের ও অন্যান্য পাকসৈন্য কেরানীগঞ্জের উপর হামলা চালিয়ে অনেকগুলো গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। গুলি, অগ্নিসংযোগ, লুন্ঠন ও ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠে সে। ধর্ষিতা হন কেরানীগঞ্জের মা বোনেরা। আক্রান্ত হয় তিনিটি ইউনিয়ন জিঞ্জিরা, শুভাড্যা ও কালিন্দী। মান্দাইল সড়কের সামনে পুকুর পাড়ে প্রায় ৬০ জনকে হত্যা করে। কালিন্দীর এক বাড়িতে পাশবিক লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে ১১ জন মহিলাকে হত্যা করে ব্রিগেডিয়ার বশির।
ঢাকার এমপি হোস্টেলের নির্যাতন কেন্দ্রে তার নির্দেশে সৈন্যরা বন্দিদের উপর নির্যাতন চালাত।
সাক্ষীঃ এরশাদুল হক।
[১৪] ড. এম.এ.হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত