বসন্তপুর ও টাউন শ্রীপুরের যুদ্ধ, সুন্দরবন
পাক সেনাদের শক্ত ঘাঁটি ছিল শংকরা, শ্রীপুর, দেবহাটা, খানজী, বসন্তপুর পাক ঘাঁটি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সময় টাকি বেইস থেকে শ্রীপুর পাক ঘাঁটি আক্রমণেরও সিদ্ধান্ত হলো। হাবিলদার সোবহান ইছামতী পেরিয়ে ‘রেকি’ করে সকল সত্য সংগ্রহ করলো। ১২/১৩ জুন রাতে ক্যাপটেন নূরুল হুদা মুক্তিবাহিনীর একটি প্লাটুন নিয়ে বসন্তপুর পাক ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হলো। মুক্তিবাহিনীর এই দুটো দলই রাত ১২টার পর পাক ঘাঁটি আক্রমণ করে বসলো। পাকিস্তানীরা এই আক্রমণের জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। তারা ভাবতেও পারেনি এই দুর্যোগময় রাতে প্রমত্তা ইছামতী পেরিয়ে মুক্তিবাহিনী তাদেরকে আক্রমণ করতে পারে। ক্যাপ্টেন নূরুল হুদা এবং ক্যাপ্টেন বেগ-এর তীব্র আক্রমণের মুখে পাকিস্তানীরা চরমভাবে মার খেলো। সংঘরশে ২০ জন পাক সেনা নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হলো। মুক্তবাহিনী ৫০টি রাইফেল, দু’টি এলএমজি এবং বেশকিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করে। অপরদিকে ক্যাপ্টেন শাজাহান মাস্টারের নেতৃত্বে শ্রীপুরেও মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ সফল হয়। পাকসেনাদের হতাহতের সংখ্যা জানা না গেলেও মুক্তিবাহিনী ৩৫ টি রাইফেল এবং বেশ কিছু গোলাবারুদ উদ্ধার করে। দু’টি অপারেশনেই মুক্তিবাহিনী সদস্যদের কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ভরবেলা মূল ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
[৩৬] ওবায়দুর রহমান মোস্তফা
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত