বড়লেখা ‘বাজনীর পুল’ অপারেশন: মৌলভীবাজার
এ ইউনিয়নে গেরিলা যুদ্ধের সংখ্যা অনেক। ‘বাজনীর পুল’ অপারেশন গেরিলাদের একটি বড় সফলতা। বাজনী পুল অপারেশন: হানাদার বাহিনীর সাবলীল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিপ্রায়ে মুক্তিসেনারা ‘বাজনীর পুল’ বিধ্বস্ত করার পরিকল্পনা আঁটেন। সে অনুযায়ী পুলটি রেকি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের তিন সদ্স্যের একটি দল আসে। এ দলের সদস্য ছিলেন আবুল কশেম, আসার আলী, ইসমাইল আলী, এবং গাইড ছিলেন দুর্দর্শ মুক্তিযোদ্ধা মস্তকিন আলী। কিন্ত রেকি করতে এসে পুল পাহারারত রাজাকারদের আক্রমণের মুখে পড়ে এ গেরিলা দলটি। অন্যরা রক্ষা পেলেও আবুল কাশেম রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন। তারা হানাদার ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয় কাশেমকে। গুলি করে হত্যা করা হয় এ সাহসী দেশপ্রেমিককে। এ সংবাদটি কুকিরতল সাব সেক্টরে পৌছলে ভারতীয় তিলক রায় মল্লিক এবং শরিফুল হক ডালিম পুলটি গুঁড়িয়ে দেবার জন্য যৌথ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রবেশ করে শরিফুল হক ডালিমের নেতৃত্বে বিশাল একটি মুক্তিযোদ্ধা দল। এ সময় গাইডের ভূমিকা পালন করেন মস্তকিন আলী। রাতে ‘যখন মুক্তিযোদ্ধা দলটি বাজনীর পুলে চলে আসে সেখানে প্রহরারত রাজাকার দলটি আত্মসমর্পণ করে। এদেরকে গ্রেফতারকরেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারপর ডিনামাইট চার্জ করেন মেজর ডালিম। আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে গুঁড়িয়ে যায় ‘বাজনীর পুল’।
[৯৩] মোস্তফা সেলিম
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত