ফুলছড়ি থানা রেইড, গাইবান্ধা
ভৌগলিক ও রণকৌশলগত কারণে পাকবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কাছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানা সদরের দখল নেয়া ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা থেকে ট্রেন পথে উত্তরবাংলায় পৌঁছার প্রবেশদ্বার তিস্তামুখ ঘাট ফুলছড়ি থানা সদরে অবস্থিত ছিল। তাছাড়া এটি ছিল ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাকেন্দ্র ও নৌবন্দর। ফুলছড়ি থানা সদরের টিটিডিসি কমপ্লেক্স ও তিস্তামুখ ঘাটে হানাদার বাহিনীর ২টি শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। ৩ ডিসেম্বর রোস্তম কোম্পানীর নিকট খবর আসে যে ক্যাম্পের পাকসেনাদেরকে বদলী করে গাইবান্ধা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্ত তাঁদের বদলি তখনও আসেনি। অর্থাৎ ৩ ডিসেম্বর ফুলছড়িতে কোন পাকবাহিনী ছিল না। এই খবর পেয়ে প্লাটুন কমান্ডার শামসুল আলমকে ৩০ সদস্যের ফাইটিং পেট্রল দিয়ে ফুলছড়ি থানা সদরে পাঠানো হয় এবং নির্দেশ দেয়া হয় যে, সুযোগ বুঝে তারা থানা আক্রমণ করবে। শামসুল আলম হাইড আউটে ফিরে আসার পথে সকাল দশটায় হঠাৎ থানা আক্রমণ করে এবং বিনা বাঁধায় থানার অস্ত্রশস্ত্র (২২টি রাইফেল, বন্দুক ও কয়েক বাক্স গুলী) হস্তগত করে হাইড আউটে ফিরে আসে।
[৫৮০] ড. মোঃ মাহবুবর রহমান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত