ফেনী চৌদ্দগ্রাম যুদ্ধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম যোগাযোগ স্থাপিত হয় ফেনী চৌদ্দগ্রাম সড়কটির মাধ্যমে। ২৯ আগস্ট গায়ক আলতাফ মাহমুদ, রেডিওর হাফিজ উদ্দিন এবং আরো কয়েকজনকে গ্রেফতারের খবর পেয়ে এই এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ফেনী চৌদ্দগ্রাম ব্রিজে মাইন স্থাপন করে। রাত আটটায় মাইন বিস্ফোরিত হয়ে অফিসার সহ ৫ জন পাকিস্তানী সেনা মারা যায়। ঐ দিনই সন্ধ্যায় ৩ জন গেরিলা চৌদ্দগ্রাম থানার পাশের পাকিস্তানী পরিখাটি গ্রেনেড দিয়ে ধ্বংস করে। এতে ৩ জন পাকিস্তানী মারা যায়। ৪ ইস্ট বেঙ্গলের বি কোম্পানির একটি প্লাটুন মর্টার দিয়ে অনেক পাকিস্তানী সৈন্যকে আহত ও নিহত করে। একই রাতে ৪ ইস্ট বেঙ্গলের বি কোম্পানি আরেকটি প্লাটুন চৌদ্দগ্রামের আধা মেইল উত্তরে চৌদ্দগ্রাম মিঞ্চাবাজার রাস্তার উপর অ্যাম্বুশ করে। ৩ জন পাকিস্তানী এতে নিহৎ হয়। তবে এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কোনো ক্ষতি হয়নি।
[৫৫] নিবেদিতা দত্ত
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত