ফরিদপুর হানাদারমুক্ত
১৭ ডিসেম্বর ফরিদপুরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করলেও টেপুরাকান্দিতে বিহারী ও পাক মিলিশিয়ারা নতুন করে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। ভাটিয়াপাড়াতে পাকসেনাদের বিরাট একটি দল আত্মসমর্পণে রাজী হচ্ছিল না। ফরিদপুরের বিভিন্ন অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা এই যুদ্ধে নিয়োজিত ছিল। ভাটিয়াপাড়াতে পাকসেনাদের আত্মসমর্পণ কিংবা পরাজয় ভিন্ন মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উল্লাস পালন করতে পারছিল না। ভাটিয়াপাড়াতে তখন প্রচণ্ড যুদ্ধ। এ যুদ্ধ পূর্বেই শুরু হয়েছিল। ফরিদপুরের ভাটিয়াপাড়ায় লে. সিদ্দিকীর বাহিনীর সঙ্গে ১২ ডিসেম্বর পাক বাহিনীর সংঘর্ষ চলছিল। মুক্তিবাহিনীর অবস্থা আশঙ্কাজনক জানতে পেরে মেজর নাজমুল হুদা অবিলম্বে তার বাহিনী নিয়ে ভাটিয়াপাড়া পৌঁছে যান। এই মুক্তিবাহিনী ১৪ ডিসেম্বর পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর প্রচণ্ড গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই আক্রমণে এফএফ বাহিনীর বহু সদস্যও অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে ১৮ ডিসেম্বর ১৫০ জন পাক অফিসার ও সাধারণ সৈনিক মেজর নাজমুল হুদার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিনই যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, খুলনাসহ পুরো ৮নং সেক্টর এলাকা হানাদারমুক্ত হয়।
[১৫] আবু সাঈদ খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত