প্রেমতলা পাকসেনা ক্যাম্প অভিযান, চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ড থানা থেকে ২০০ গজ দক্ষিণে ঢাকা-চট্টাগ্রাম ট্র্যাংক রোড এর পূর্ব দিকে ১টি রাস্তা গেছে। এখান থেকে ১০০ গজ গেলে সীতাকুণ্ড কলেজ, পাশে মন্দির অবস্থিত। ১৯৭১ সালে প্রেমতলায় পাক সেনারা ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত করত এই মন্দির। মুক্তিযোদ্ধারা এই মন্দিরের পাক সেনা ক্যাম্পে হানা দেন জুলাই মাসের শেষ দিকে না আগস্ট মাসের ১ম সপ্তাহে। কমান্ডার নূরুল হুদা, মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামন সহ অন্যান্যদের নিয়ে চারটি ভাগে বিভক্ত করেন নিজ দলকে। ১ম দলটি ক্যাম্পের দক্ষিণে-পশ্চিমে, ২য় দলটি সোজা দক্ষিণে ও তৃতীয় দলটি পূর্ব দিকের পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান নেয়। ৪র্থ দলকে রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়। উত্তর দিকে ফাঁকা রাখা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ছিল পিস্তল, স্টেনগান, এসএলআর, ৩০৩ রাইফেল এবং কিছু সংখ্যক গ্রেনেড। কমান্ডার (রাত ১টার দিকে) টর্চ লাইট উপরে তুলে ফোকাস করলে সবাই ফায়ার শুরু করবে, এভাবে পরিকল্পনা করা হয়। কমান্ডারই প্রথমে ফায়ার শুরু করেন এবং পাক সেনাদের ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। তবে পাকিস্তানীরা ভয়ে সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে ক্যাম্পের ভেতর থেকে গোলাগুলি চালিয়ে যায়। উত্তর দিকে ফাঁকা ছিল বিধায় উত্তর দিক দিয়ে পাক সেনারা এক সময় পালিয়ে ক্যাম্প ত্যাগ করে।
[৫৯৭] কে.এম.আহসান কবীর
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত