পালের হাটে রাজাকার ক্যাম্প দখল, খুলনা
৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের এ বিশাল দলটি যখন পালের হাটের কাছাকাছি এসে পৌঁছে তখন খুলনা শহর থেকে পাকসেনা তাদের উপর বোমা নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এর সাথে সাথে পালের হাটের রাজাকার ক্যাম্প থেকে রাজাকাররাও মন শেখের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে গুলি ছুঁড়তে থাকে। কিন্ত মুক্তিযোদ্ধারা এর বিরুদ্ধে পাল্টা গুলি না ছুঁড়ে গ্রামের ভিতরে আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিয়ে চুপচাপ থাকে। কয়েক ঘন্টা পর পাকসেনাদের বোমা হামলা ও রাজাকারদের গুলি ছোঁড়া বন্ধ হলে মুক্তিযোদ্ধারা বের হয়ে এসে আকস্মিকভাবে পালের হাটের রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে দখল করে নেয়। এখানে মনু শেখসহ ৩০ জন রাজাকার বন্দি হয়। তাদেরকে তেরখাদায় পাঠিয়ে অন্যান্য রাজাকারদের সাথে আটকিয়ে রাখা হয়। পালের হাঁট থেকে মুক্তিযোদ্ধারা বেলফুলিয়ায় আসে। এখানকার হাই স্কুলে তখন একটি রাজাকার ক্যাম্প ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের খবর পেয়ে তারা ক্যাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর মুক্তিযোদ্ধারা এ স্কুলে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। এখান থেকে তারা খুলনা শহরের পাকসেনাদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর এবং শহর আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে থাকে।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত