পাঁচদোনা ক্যাম্প আক্রমণ, নরসিংদী
অনেক কটি চোরাগুপ্তা হামলার পর ন্যাভাল সিরাজ এবার পাকসেনাদের ক্যাম্প সরাসরি আক্রমণের উদ্যোগ নেন। এর প্রথম পদক্ষেপই হয় পাচদোনা সেতুসংলগ্ন হানাদারদের ক্যাম্প অ্যাটাকের মাধ্যমে। তিন দিক থেকে এই ক্যাম্পটি আক্রমণ করে যখন হানাদারদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে এরা আত্মসমর্পণের উদ্যোগ নিচ্ছে ঠিক তখুনি বাবুরহাট এবং নরসংদী থেকে পাকবাহিনীর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত দুটি দল এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করে। ইমাম উদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী আক্রমণ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তবে এতে কজন পাকসেনা নিহত হয়েছে বলে পড়ে জানা যায়। পক্ষান্তরে, এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর তোরাব মাস্টার ও আতাউল্লাহ আহত হয়। এর কিছুদিন পর আবারো পাঁচদোনা ক্যাম্প আক্রমণ করা হয়। এবার দীর্ঘ সময়ব্যাপী যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনীর ক্যাম্পটি ঘেরাও করে রাখা হয়। এদের আত্মসমর্পণের আহবান জানানো হয়। মুক্তিযোদ্ধারা যখন নিশ্চিত যে, হানাদাররা আত্মসমর্পণ করছে, তখুনি আগেরবারের মতো পাকবাহিনী তাদের সহায়তায় জিনারদী, নরসিংদী ও বাবুরহাট থেকে এগিয়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধারা এই তিন দিকেই এদের ঠেকাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরিশেষে পশ্চাৎপসরণ করে। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের ৮ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়। পক্ষান্তরে হারুন অর রশিদ ও মোতালেব এই দুই দুঃসাহসী মুক্তিযোদ্ধা এতে শহীদ হন এবং ৭ জন আহত হন।
[১২৭] সিরাজ উদ্দীন সাথী
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত