You dont have javascript enabled! Please enable it!

নৌ-কমান্ডো

মন্ত্রিপরিষদের সচিব হিসেবে সরকারিভাবে নোউ-কমান্ডো সম্পর্কে কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। উক্ত বিবরণ থেকে যা জানতে পারি তা হলো : ৬ জনের কমান্ডো দলকে ৩টি উপদলে ভাগ করে-একজন কমান্ডোর উপর ২০ জন কমান্ডোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দলের নেতা-কমান্ডোর দায়িত্ব লাভ করেন শাহআলম, মযহার উল্লাহ ও আবদুর রশীদ। ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্থলবাহিনির মুক্তিযোদ্ধাকে কমান্ডোদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়। অভিযানের কৌশলটি ছিল যে, তারা অভিযানের স্থানে পৌঁছে যাবেন ১০ আগস্টের আগেই। পরিকল্পনা অনুযারে কমান্ডোরা অগ্রসর হয়। ৮ আগস্ট মধ্যাহ্নভোজের পর হরিণা ক্যাম্প থেকে মেজর রফিক ও ভারতীয় ব্রিগেডিয়ার সাবেগ সিং কমান্ডোদের সাফল্য কামনা করে বিদায় দিয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে ১০টি টার্গেটের অভিযান পরিপূর্ণভাবে সফল হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের এই দুঃসাহসিক নোউ-অপারেশনের খবর সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে এই অপারেশনের খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয় গুরুত্ব সহকারে। ১৫ আগস্ট আমাদের নৌ-কমান্ডোদের এই অভিযান একই সময়ে চট্টগ্রাম, মংলা, চাদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নৌবন্দরে পাকিস্তানী জাহাজসমূহ ধ্বংস করে দেয়।
[১৩] এইচ.টি.ইমাম

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!