নারায়ণগঞ্জ বন্দর ক্যাম্প অপারেশন
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের এইচ এম সে রোড ও এ এম শাহ রোডের মিলনস্থলে, বন্দর গার্লস স্কুলের বিপরীতে পাকিস্তানীদের একটি ক্যাম্প ছিল। যা বন্দরের কেন্দ্রীয় ক্যাম্প নামে পরিচিত ছিল। এই কেন্দ্রীয় ক্যাম্পের চারদিকে পাকসেনাদের আরও ১৫টি ক্যাম্প ছিল। নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর ও শহরকে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি ক্যাম্পেই সশস্ত্র পাহারার ব্যবস্থা ছিল। বন্দরের এই কেন্দ্রীয় ক্যাম্পটি ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ একমাস রেকী পরিকল্পনা করার পর ১৯৭১ সালের ২৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭.২০ মিনিটে কেন্দ্রীয় ক্যাম্প আক্রমণ করে কিন্ত তারা ব্যর্থ হন। এরপর পরপর ৬দিন মুক্তিযোদ্ধারা বন্দরে প্রবেশ করে কিন্ত কেন্দ্রীয় পাকসেনা ক্যাম্পটি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হন। এই বন্দর ক্যাম্প অপারেশনে একজন পাকসেনা ও নৌবাহিনীর একজন নৌসেনা নিহত হয় ও ৩০/৪০ জন আহত হয়। তবে মুক্তিবাহিনীর পক্ষে কেউ নিহত হয়নি। এই বন্দর ক্যাম্পে অপারেশনের পরিকল্পনাকারী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন খান সবুজ ও অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন জিকে বাবুল, দুলাল, মোবারক হাতেম, টুক্কু প্রমুখ।
[৫৯৪] তানজিলা তাওহিদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত