নারায়ণগঞ্জ বন্দর বাজারে তিন রাস্তার মোড়ে অবাঙালিদের ক্লাব অপারেশন
মোঃ নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে১৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় হাতেম, মোবারক, মো. গিয়াস (বন্দর), আসগর, দুলাল, বাবুল প্রমুখ মীরকুন্ডি চেয়ারম্যান বাড়ি হতে নৌকাযোগে বন্দর রেললাইনে আসেন। সেখান থেকে হেঁটে বন্দর বাজারে তিন রাস্তার মোড়ে মো.নুরুজ্জামান, দুলাল ও বাবুল অবাঙালিদের ক্লাবে ঢুকে অতর্কিত হামলা করেন। রাজাকার তাসকীনকে তারা গুলি করে হত্যা করেন। গ্রেনেড চার্জ করেন। পাকসেনা কমান্ডার সাঈদ আহম্মদ এই অপারেশনে মারা যায়। আহত হয় প্রায় ১১ জন। মুক্তিযোদ্ধাদের কভার দেন সাহাবুদ্দিন খান, মো. গিয়াস (বন্দর), হাতেম ও মোবারক। মুক্তিযোদ্ধাদের অলক্ষে রাজাকার রহমান পালিয়ে ওর দোকানে মুকায়। মুক্তিযোদ্ধারা জানত না এই রাজাকারের কাছে রাইফেল আছে। মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন শেষ করে চলে যাবার সময় রহমান রাজাকার পেছন থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে বাবুলের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি আহত হন।
[১১০] রীতা ভৌমিক
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত