You dont have javascript enabled! Please enable it!

নান্দিনা আক্রমণ, গাইবান্ধা

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা সাদুল্লাপুর থানা আক্রমণ করে সফল হওয়ার পর শক্রর এল অব সি বিচ্ছিন্ন করে গাইবান্ধা পলাশবাড়ী প্রধান সড়কের উপর অবস্থিত সাকওয়ার ব্রিজ ধ্বংস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। নন্দিনা এবং পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর গ্রামটি ছিল জামাত অধ্যষিত এলাকা। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের খবর দ্রুত পাকবাহিনীর কাছে পৌঁছে যায়। এমতাবস্থায় কোম্পানী কমান্ডার সাইফুল ইসলাম সাজার নির্দেশে কোম্পানী গ্রুপটি চার ভাগে বিভক্ত হয়ে যথাক্রমে নান্দিনা, নান্দিনা-দৌলতপুর, দৌলতপুর এবং টাবুদুর্গাপুরে অবস্থান গ্রহণ করে। নান্দিনা গ্রামে অবস্থিত প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আউয়াল, নান্দিনা দৌলতপুরের নেতৃত্বে ছিলেন রফিকুল ইসলাম হিরু এবং দৌলতপুর প্লাটুনের নেতৃত্বে ছিলেন জিন্নু। নিজেদের পরিকল্পনা ভুল বুঝতে পেরে অবস্থান পরিবর্তনের পূর্বেই ফজরের আযানের সময় পাক বাহিনীর দুইটি দল তলশীঘাট খোরদকামরপুর রাস্তা ধরে নান্দিনার দিকে অগ্রসর হয়। এসময় দর্জি মাস্টার আব্দুল আউয়ালের প্লাটুনের এলএমজি গর্জে ওঠে এবং পাকবাহিনী রাস্তা ছাড়তে বাধ্য হয়। অতঃপর পাকবাহিনীর সদস্যরা রাস্তার কভার নিয়ে ধীরে ধীরে নান্দিনার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্ত মুক্তিবাহিনীর তিন প্লাটুনের সম্মিলিত ফায়ারের মুখে তারা সরাসরি আক্রমণে যেতে পারেনি।
[৫৯৬] অমিত কুমার বিশ্বাস

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!