You dont have javascript enabled! Please enable it!

নবীগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন অপারেশন, নারায়ণগঞ্জ

শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বপাড়ে বন্দর থানা এলাকায় নবীগঞ্জ অবস্থিত। নবীগঞ্জ বাজারে টি হোসেন রোডে অবস্থিত বন্দর থানার বিদ্যুৎ সরবরহাকারী পাওয়ার স্টেশন মুক্তিযোদ্ধারা ১৬ সেপ্টেম্বর এক্সপ্লোসিভ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। ফলে বন্দর এলাকার শত শত শিল্প প্রতিষ্টান ও আবাসিক প্রকল্পে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিকটে অবস্থিত লোহিয়া ও ফেব্রিক্স পাঁট কোম্পানিতে পাকসেনাদের ক্যাম্প ছিল। ফলে প্রথম বার ধ্বংস করার পর পাকিস্তানীরা জরুরি ভিত্তিতে নতুন ভাবে ২০ দিনের মধ্যে ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখে এবং সেখানে ২০ জন সশস্ত্র মিলিশিয়া পুলিশকে পাহারায় নিযুক্ত করে। এর দেড় মাসের মাথায় মুক্তিযোদ্ধারা ২০ জন মিলিশিয়া পুলিশকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে এবং পুনরায় টিএনটি এক্সপ্লোসিভ (TNT Explosive) দিয়ে ঐ ট্রান্সফার উড়িয়ে দেয়। ফলে চূড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত বন্দরে কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না। এ অপারেশনের পরিকল্পনাকারী ছিলেন সাহাবুদ্দিন খান সবুজ ও অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন জি কে বাবুল, আলী আজগর, আঃ আজিজ, সহিদ ড্রাইভার, সামছু ড্রাইভার, দুলাল, গিয়াসউদ্দিন গেসু, হাতেম, লিয়াকত হোসেন, জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ।
[৫৯৪] তানজিলা তাওহিদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!