দৌলতপুরের, যুদ্ধ, খুলনা
পাকসেনাদের আগ্রাসন প্রতিরোধ করার জন্য দৌলতপুরবাসী সদা প্রস্তুত থাকতো। ২৭ মার্চ তারিখে তারা দৌলতপুরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। ডা. নওশের আলীর বাঁধা উপেক্ষা করে তার বাড়ির দোতলায় অবস্থান নেন দৌলতপুরের ডা. আফজাল হোসেনের পুত্র ইসতিয়াক আহমেদ হিডি ও শেখ সফিউদ্দীনের পুত্র মনিরুজ্জামান মনির। নিচে অবস্থান নেন দেয়ানার ইমদাদ আলীর পুত্র আব্দুল রশিদ মোল্যা টুকু, মোমিন উদ্দীন শেখের পুত্র মুছা শেখ ও পাবলার কেরামত শেখের পুত্র রুস্তম শেখ। পার্শ্ববর্তী ডা. নজরুল ইসলামের বিল্ডিং-এর দোতলায় মৃত তাহের আলী চৌধুরীর পুত্র দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী দুলালের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন যুবক অবস্থান নেন। তাঁদের প্রতীক্ষার পালা এক সময়ে শেষ হয়। নতুন রাস্তার মোড় থেকে আগত একটি পাকসেনাদের গাড়ি সোজা এসে ‘ঔষধ ঘর’- এর সামনে দাঁড়ায়। তারপর গাড়ি থেকে সেনারা নেমে সন্ধানী দৃষ্টিতে উত্তর দিকে এগুতে থাকে। তারা যখন ট্রাফিক মোড় অতিক্রম করবে ঠিক তখনই হিডি দোনলা বন্দুক দিয়ে গুলিবর্ষণ করেন। তার গুলিতে একজন খানসেনা আহত হয়। পাকসেনারা তখন গ্রেনেড চার্জ করে এবং এলোপাথাড়ি ব্রাশ ফায়ার শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রতিরোধ যোদ্ধারা বিল্ডিং-এর পিছন দিকের জঙ্গলের ভিতর দিয়ে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। আহত সৈনিককে নিয়ে পাকসেনারা খুলনার দিকে ফিরে যায়।
[১৮৮] মোঃ আবুবকর সিদ্দিকী
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত