You dont have javascript enabled! Please enable it!

দুর্লভপুর অ্যাম্বুশ, কুমিল্লা

৬ অক্টোবর পাকসেনাদের একটি দল কুমিল্লার দুর্লভপুরের কাছে মুক্তিবাহিনীর পাঁতা আম্বুশে পড়ে। আম্বুশের ফাঁদে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আম্বুশে একজন ইঞ্জিনিয়ার কোরের অফিসারসহ ১২ জন পাকসেনা নিহত হয়। পাকসেনারা গোমতী নদীর উত্তরে আবার আধিপত্য প্রতিষ্টা করার জন্য তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। পাকসেনাদের তৎপরতাকে বাঁধা দেয়ার জন্য ক্যাপ্টেন দিদারুল আলম দু’টি প্লাটুন পানছড়া এবং মোহনপুরে পাঠান। এই প্লাটুনগুলো পাকসেনাদের চলাচলের একটি শক্তিশালী দল গোমতী নদী পার হয়ে পানছড়ার দিকে অগ্রসর হয়। সকাল ৬টায় এ দলটি অ্যাম্বুশের আওতায় আসে। এতে ২০ পাকসেনা নিহত এবং ১০ জন আহত হয়। পরদিন পাকসেনাদের আরেকটি ছোটদল মনোহরপুরে মুক্তিবাহিনীর অ্যাম্বুশের আওতায় আসে। এই অ্যাম্বুশে ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়। এ দিনেই মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের আরেকটি দলকে বুড়িচং এর কাছে সাদকপুর জেরুইনে অ্যাম্বুশ করে। অ্যাম্বুশে একজন মেজর ও ১ জন ক্যাপ্টেনসহ ২০ জন পাকসেনা নিহত ও ৭ জন ইপিসি-এ এফ নিহত হয়। নিহত একজন ক্যাপ্টেনের নাম জাভেদ শাহ বলে মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারেন। এখানে একজন পাকসেনা মুক্তিবাহিনীর হাতে বন্দিও হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর একজন শহীদও ও তিনজন আহত হন। ৭টি রাইফেল মুক্তিবাহিনীর দখলে আসে।
[১৮] আবুল কাশেম হৃদয়

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!