You dont have javascript enabled! Please enable it!

দাউদকান্দি সড়কে অ্যাম্বুশ, কুমিল্লা

হাবিলদার গিয়াসের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল ১৬ জুলাই রাত ১ টায় ইলিয়টগঞ্জের দেড় মাইল পশ্চিমে পুটিয়া গ্রামের সামনে কুমিল্লা-দাউদকান্দি সড়কের উপর একটি এন্ট্রি-ট্যাংক মাইন পুঁতে রাখে। পরদিন ১৭ জুলাই সকালে পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রনাধীন একটি ওয়াপদার ট্রাক মাইনের ওপর বিস্ফোরিত হয়। এতে ট্রাকটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ট্রাকে অবস্থানরত একজন পাক সেনা, ২ জন রাজাকার ও ড্রাভারসহ সবাই নিহত হয়, পাকসেনাদের আরো একটি জীপ ও ট্রাক এন্টি ট্যাংঙ্ক মাইন বিস্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়। এতে আরো ৫ জন পাক সেনা, ১ জন পাক মেজর ও ৬ জন রাজাকার নিহত হয়। এই খবর পেয়ে কুমিল্লা থেকে ৪০ টি গাড়িতে করে পাকসেনারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পাক সেনাদের গাড়ি গুলি ঘটনাস্থলে থেকে অনেক দূরে এসে দাঁড়ায়। সামনের গাড়ি থেকে বেশ কিছু সংখ্যক পাকসেনা নেমে আস্তে আস্তে ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনারা রাস্তার পাশ দিয়ে অগ্রসর হবার সময় মুক্তিবাহিনীর পুঁতে রাখা এন্টি পার্সোনাল মাইন বিস্ফোরণে আরো ৬/৭ জন সৈন্য নিহত হয়। এরপর সেনারা সম্মুখে অগ্রসর হয়নি। সমস্ত দিন পাকসেনারা মাইন ডিক্টেটরের সাহায্যে ঘটনাস্থলের চতুর্দিকে তন্নতন্ন করে তল্লাশী চালালে সমস্ত বেসামরিক যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। পরে পাকসেনারা পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে মুক্তিবাহিনীর সন্ধানে ব্যাপক তল্লাশী শুরু করে।

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!