You dont have javascript enabled! Please enable it!

তেতুলবাড়িয়ার যুদ্ধ, মেহেরপুর

রাজাকারসহ আনুমানিক দুই কোম্পানি পাকসেনা ২২ সেপ্টেম্বর তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদার বাড়িতে আক্রমণ করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। নূরুল হুদা নিজে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। নিজের বাড়িটিকে করে তোলেন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প। এছাড়াও তারই উদ্যোগে মথুরাপুর এবং তেতুল বাড়িয়ায় শরণার্থী ক্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প প্রতিষ্টিত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি আক্রমণ শুরু করলে পাকসেনা ও রাজাকাররা বেশ কিছু অস্ত্রগোলাবারুদ ফেলে পালিয়ে যায়। ২ জন পাকসেনা নিহত এবং ৫ জন আহত হয়। দখলে আসে ২টি ৩০৩ রাইফেল এবং তার ১০ রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিনসহ একটি স্টেনগান এবং ৩টি ক্যানভাস বুট। তেতুলবাড়িয়ার যুধ সম্পর্কে ১৫ অক্টোবরের ‘জয়বাংলা’পত্রিকায় লেখা হয়ঃ গত ২২শে সেপ্টেম্বর দুই কোম্পানি পাকফৌজ তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের বাড়িতে আগুন দিলে মুক্তিবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। মুখোমুখি এক সংঘর্ষে হানাদার বাহিনীর ৩জন সোইন্য খতম হয় এবং ৫ জন গুরুতর আহত হয়। ভীতসন্ত্রস্ত খান সেনারা মুক্তিবাহিনীর হাতে মার খেয়ে পলায়নকালে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও তাদের পোশাকাদি ফেলেই কেটে পড়ে। এদিনের যুদ্ধে হাজাবর আলীর নেতৃত্বে গাংনীর বারেক, মহসিন, গফুরসহ ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া ভারতীয় আর্টিলারি সহায়তা ভীষন কাজে লাগে।
[১০৩] রফিকুর রশীদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!