ডুমাইন যুদ্ধ, ফরিদপুর
যশোর ক্যান্টেনমেন্টের পাকসেনারা গড়াই নদী পার হয়ে ফরিদপুরের এবার অবস্থান নিচ্ছিল। এমনি এক পরিস্থিতিতে ১২ ডিসেম্বর কমান্ডার শেখ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন দল বিল্লাল হোসেন হাবিলদারের নেতৃত্বে কামারখালী থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের ডুমাইন বটতলা খালপাড়ে অবস্থান নেয়। সকাল থেকেই পাকসেনারা পশ্চিম পাড়ে জড়ো হতে থাকে। তখন সকাল ৯টা। মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি এলএমজি, চারটি এসএলআর এবং ত্রিশটির অধিক রাইফেল একযোগে গর্জে উঠলে পাকসেনারা নাজেহাল হয়ে পড়ে। কতিপয় পাকসেনারা বুলেটবিদ্ধ হয়ে ঢলে পড়ে। কিন্তু পাকসেনারা দ্রুত এসে জড়ো হয়। তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় কয়েকশ’। পক্ষান্তরে মুক্তিযোদ্ধারা মাত্র ৪০ জন। এমনি পরিস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যায়। এক ঘন্টা গুলিবিনিময়ের পর তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। ঐ যুদ্ধে মফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন এবং হাফিজুর রহমান ধরা পড়েন। ধৃত হাফিজুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যুদ্ধে অংশ নেন বিল্লাল হোসেন, আজিজুর রহমান, রেজাউল হোসেন, আবদুল জব্বার (নিঘুরদিয়া-নগরকান্দা), আবদুল মালেক-প্রমুখ।
[১৫] আবু সাইদ খান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত