You dont have javascript enabled! Please enable it!

ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে যুদ্ধ

১২ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা সদর এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে কাদেরীয়া বাহিনী কতৃক ৬টি পুল ধ্বংস করে দেয়া হয়। পুল ধ্বংসের ফলে পাকসেনাদের ঢাকা-টাঙ্গাইল যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ফলে যানবাহনযোগে চলাচল করতে খুব ধীরে অগ্রসর হতে হতো পাকিস্তানিদের। মুক্তিযোদ্ধারা এ সুযোগ সহজেই কাজে লাগাতে সচেষ্ট হয়। ১৭ নভেম্বর ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার পথে ২টি পাকিস্তানি আর্মি জিপের উপর মুক্তিবাহিনীরা আম্বুশ করে। গাড়ি দুটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়।
১৯ নভেম্বর কাদেরিয়া বাহিনী ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে বিভিন্ন স্থানে ৩০ মেইল ব্যাপী রাস্তায় ছোট বড় মোট ১৭টি সেতু ধ্বংস আংশিক ক্ষতি সাধন করে পাকসেনাদের চলাচলে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করে।
টাঙ্গাইলের দিক থেকে ভাতকুড়া সেতু হলো এক নম্বর। আর ঢাকার দিক থেকে কালিয়াকৈরে মহিষবাথান সেতু এক নম্বর। টাঙ্গাইলে দিক থেকে এক নম্বর ভাতকুড়া, দুই নম্বর করটিয়া, তিন নম্বর করাতিপাড়া, চার নম্বর মটরা, পাঁচ নম্বর বাঐখোলা, ছয় নম্বর ইসলামপুর। সাঁট নম্বর জামুরকী। আট নম্বর পাকুল্লা, নয় নম্বর শুভুল্লা, দশ নম্বর কুর্নি, এগার নম্বর মির্জাপুর, বার নম্বর দেওহাট। তের নম্বর কোদালিয়া , চৌদ্দ নম্বর-সুত্রাপুর, পনের নম্বর-কালিয়াকৈর (এক), ষোল নম্বর কালিয়াকৈর (২), সতের নম্বর মহিষবাথান সেতু।
এক : কাদের সিদ্দিক নিজে ভাতকুড়া পুলে অভিযান চালান।
দুই : করটিয়া পুল : বায়েজিদ।
তিন : করতিপাড়া ও মটরা পুল : সোলেমান ও শামসুল হক।
চার : বাঐখোলা ও ইসলামপুর, গাজী লুৎফুর রহমান।
পাঁচ : জামুরকী ও পাকুল্লা, জাহামারা হাবিবুর রহমান।
ছয় : শুভুল্লা ও কুর্নি, বাদশা, এস এ খান আজাদ, হুমায়ূন ও নায়েক আলম।
সাত : মির্জাপুর পুল, আজাদ কামাল।
আট : দেওহাট, রবিউল ও রঞ্জু।
নয় : কোদালিয়া : আবদুস সবুর, সাইদুর, তমছের আলী।
দশ : সুত্রাপুর ও কালিয়াকৈর (১) ও মহিষাবাথান, আফসার কোম্পানি সহকারী আব্দুল হাকিম।
[৫৯৫] ফিরোজ খায়রুদ্দিন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ সপ্তম খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!