জাহানজেব খান, মেজর
মুনির হোসেন, ক্যাপ্টেন
সিদ্দিক, সুবেদার
বরিশাল (ভোলা)।
অপরাধঃ ক্যাপ্টেন মুনির ও সুবেদার সিদ্দিকের নেতৃত্বে বরিশালের ভোলার ওয়াপদা কলোনিতে পাকবাহিনি ক্যাম্প স্থাপন করে। প্রতি রাতে পাকিসেনারা ১০-১৫ জন বাঙালিকে এখানে এনে হত্যা করত। এখানে রাতের পর রাত ক্যাপ্টেন মুনির ও সুবেদার সিদ্দিক অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে। ক্যাপ্টেন মুনির এখানে নির্বিচারে লুন্ঠনও চালায়।
মেজর জাহানজেব খান ওয়াপদা কলোনির একটি ঘড়ে ড্রাইভার আহাহারকে নিজ হাতে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনা জনা খালেদের নিজ চোখ দেখা। এমন কোনো রাত ছিল না যে রাতে পাকবাহিনী এখানে ১০/১২ জনকে হত্যা করেনি। মেয়েদের এখানে উলঙ্গ করে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হতো। অনেককে এরা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিত। টাকা নেবার পরও কখনো হত্যা করত। দুলার হাটের মোহাম্মদ উল্লাহ কট্রাক্টর টাকা দিয়েও এদের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি।
সাক্ষীঃ উপরোক্ত নরঘাতকদের বর্বরতার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াপদার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ খালেদ, টেকনিক্যাল অফিসার সিরাজুল ইসলা। সাবডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার আবু তাহের, মনসুর আলী ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ উদ্দীন।
[১৪] ডা.এম.এ হাসান
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত