You dont have javascript enabled! Please enable it! জৈন্তাপুরের যুদ্ধ, সিলেট - সংগ্রামের নোটবুক

জৈন্তাপুরের যুদ্ধ, সিলেট
[অংশগ্রহণকারীর বিবরণ]

জৈন্তাপুর সিলেট জেলার সর্বত্তরে অবস্থিত একটি থানা যা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তামাবিল সীমান্ত অবস্থিত। উত্তর-পশ্চিমে সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর- পশ্চিমে অংশ নিয়ে ৫ নং সেক্টর গঠিত হয়। এই থানার ভেতর দিয়ে সিলেট-শিলং রোড ব্রিটিশ ভারতের সময় ১৯৩২ সালে নির্মিত বিটুমিনের তৈরি পাকা রাস্তা। অবশ্য এই ঐতিহাসিক রাস্তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৬২ সনের চীন-ভারত যুদ্ধ এবং ১৯৬৫-এর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় এক গুরুত্বপূর্ণ কানেকটিং রোড হিসেবে কাজ করে। জৈন্তাপুর থানার একদিকে গোয়াইনঘাট অন্যদিকে কানাইঘাট। থানাগুলোর বিপরী দিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্য যা তাদের রাজধানী শিলং-এর সঙ্গে সংযুক্ত এই রাস্তা। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর দুটি বিখ্যাত স্থল ও বিমান ঘাঁটি শিলং গৌহাটি যেখানে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পার্বত্য ডিভিশনের হেডকোয়ার্টার ছিল। যদিও ভারতীয় সীমান্তের কাছের এই এক্সিস উভয় দেশেরজন্য হয়তো ততো অপারেশনের কৌশলগত গুরুত্ব ছিল না কারণ, পাকিস্তান আর্মিকে তাদের গোলাবারুদ ও রসদের জন্য ধাকার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হতো। পাকিস্তানীরা তাই মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর প্রধান আক্রমণ থেকে তাদের লাইন অব কমিউনিকেশন (LOF) রক্ষার জন্য সর্বদা তটস্থ থাকতো। ২৫ মার্চ রাতের ভয়াল আক্রমণের পর প্রায় সকল মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে আশ্রয় নেয় এবং ইপিআর ও পাকিস্তান আর্মির বাঙালী সৈন্যদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী একটি অদম্যবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে থাকে। এই বিবেচনায় সীমান্তে মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা বন্ধের জন্য পাকিস্তানী সেনারা জৈন্তাপুর এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে, কারণ তাদের সকল মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ ও মরণ ফাঁদে তৈরি হয়। তারা সিলেট- কানাইঘাট এবং সিলেট-কুলাউড়া এক্সিসে তাদের সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সাহাযয দিতেও চরম অসুবিধায় পড়ে। জৈন্তাপুর এরিয়া সাধারণত নিচু সমতল ভূমি যা প্রচুর হাওর-বিল, নদী-নালা দ্বারা বেষ্টিত। পূর্ব দিকে কিছু উঁচু ঢিলা যেগুলার উচ্চতা ১০০ থেকে ১৫০ ফুট পূর্ব ও উত্তর দিকে পাহাড় ঘেরা এবং প্রচুর বনরাজি বেষ্টিত। বাকি জায়গাগুলো সমতল ও ছোট ছোট গ্রাম স্বল্প বসতিপূর্ণ। ২০২ ও ৩১৩ পাকিস্তানী ইনফেন্ট্রী ব্রিগেডের সলিমুল্লা ও ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার হোসেন রানা সিলেট প্রতিরক্ষার দায়িত্ব যাদের অধীনে ছিল, তাদের প্রায় সব ধরনের সৈন্য ও অস্ত্রবল মজুদ ছিল। জৈন্তাপুর সিলেট এক্সিসে তাদের নিন্মবর্ণিত সৈন্যবল ছিল। ১। পাকিস্তানি বাহিনীঃ ক. ২ প্লাটুন ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের সৈণ্যঃ খ. ১ কোম্পানি ১২ আজাদ কাশ্মীর রেজিমেন্টের সঈণ্যঃ গ.১টি মিশ্র কোম্পানি (রাজাকার ও ইপিসিএএফ (ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্ম ফোর্সেস)। ২। মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীঃ ক. ৬ কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধাঃ খ. ১ কোম্পানি ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য। গ. ইকো ফোর্সঃ ১.৫/৫ গুর্খা রাইফেলস ২. ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ৩. ১ মিডিয়াম ব্যাটারি, ৪.১ কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ার্স
জৈন্তাপুর প্রতিরক্ষার জন্য একটা শক্ত ব্যবস্থা পাকবাহিনী গড়ে তুলেছিল। বাঙ্কারগুলো পাথর, গাছ-পালা ও কাঠ দ্বারা তৈরি করা ছিল এবং প্রত্যেকটির বাঙ্কার সুসজ্জিত ও সুরক্ষিত ছিল। যুদ্ধের বিভিন্ন সময় জৈন্তাপুরের ওপর যথেষ্ট মর্টার গোলা নিক্ষেপ করে পাকবাহিনী প্রভূত ক্ষতি সাধন করা হয়। এরকম একটা অবস্থায় কর্নেল ভি এন রাও ও তাঁর অধনস্ত্রা আমাদেরকে জৈন্তাপুর যুদ্ধের পূর্বেকার বিস্তারিত ব্রিফিং দিলেন। সেক্টর কমান্ডার মেজর শওকত আলী যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার জন্য সীমান্তে আসেন। জৈন্তাপুরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া থানার উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমাংশে প্রায় ২৫ কি.মি শত্রুমুক্ত রাখতে আমরা সক্ষম হই। এটা আমাদের জন্য অনেক সুবিধাজনক অবস্থান ছিল। আমার কোম্পানিকে বৈঠাখাল ব্রিজ ধ্বংস করা হয় তাহলে পাক বাহিনীর জৈন্তাপুর-সিলেটের অস্নগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই ব্রিজ স্টিলের তৈরি বার্ণ এন্ড কোম্পানি, হাওড়া কর্তৃক ১৯৩২ সনে নির্মিত। প্রায় ৩২৫ ফুট দীর্ঘ ব্রিজটি আজাদ-কাশ্মীর রেজিমেন্টের সৈনিকরা ও পাকিস্তানী কিছু রাজাকাররা দিন রাত কড়া পাহারা দিচ্ছিল। আমরা কোম্পানি মুক্তাপুর ক্যাম্প থেকে রাত ৯ টায় লক্ষ্যস্থলের দিকে যাত্রা শুরু করে এবং ভোর সাড়ে ৪টার দিকে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পৌঁছে যাই। ব্রিজের রেইড টাইম ভোর ৫ টায় রাখা হয়। ব্রিজের উপর এবং পাশের বাঙ্কারগুলোতে পাকিস্তানীরা পাহারা দিচ্ছিল। আমার কোম্পানিকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করলাম। বৈঠাখাল গ্রামের পাশে আমার ২ সেকশন (২০ জন যোদ্ধাসহ) আমি ব্রিজের দিকে পজিশন নিলাম, ব্রিজের দক্ষিণ দিকে ভোর প্রায় ৫টার সময় আমাদের অটোমেটিক হাতিয়ার গর্জে উঠলো। অকস্মৎ আক্রমণে শত্রুরা দিশেহারা হয়ে পড়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাক আর্মি সদস্য ও সহচররা প্রচণ্ড চিৎকার করে ব্রিজের দক্ষিণ অংশের বাঙ্কার থেকে লাফিয়ে বের হয়ে সিলেট-জৈন্তাপুর সড়কের পূর্ব পাশ দিয়ে পালাতে শুরু করে। ব্রিজের উত্তরাংশের সৈনিকরা ও দিগব্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে পালাতে লাগলো> ততক্ষণ আমি এবং আমার কোম্পানি সহযোদ্ধারা ব্রিজের ওপর উঠে গেছি। ৪ জন রাজাকার তখনও অক্ষত অবস্থায় ছিল, তাদেরকে ধরলাম বাঁ হাত দিয়ে কলার চেপে আর আমার ডান হাতে স্টেনগান। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য ছিল যদিও তা ছিল ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। প্রচুর অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হলো। ইতিমধ্যে পাকিস্তানী আর্মিরাও আর্টিলারি গোলা ছুড়তে শুরু করে। পাকিস্তান বাহিনীর কিছু মৃতদেহ চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকে। ব্রিজের ওপর বিস্ফোরক বসিয়ে উত্তরাংশের অংশটুকু উড়িয়ে দেওয়া হলো। আমার সেক্টর কমান্ডার মেজর মীর শওকত আলী তখনই বেতার বার্তায় প্রচণ্ড শব্দ শুনে আমাকে অভিনন্দন জানালেন এবং পরবর্তী আক্রমণের সফলতা কামনা করলেন। ৩০০ কেজি প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ দ্বারা এই অভিযান চালানো হয়। প্রত্যেক সহযোদ্ধা বস্থা করে (৩০ কেজি করে এক একটি বস্তা) মুক্তাপুর থেকে চার্জ প্রায় তৈরি করে নিয়ে আসি। সম্পূর্ণ অপারেশন শেষ করতে প্রায় ১০ মিনিট সময় লাগে। ততক্ষণে জৈন্তাপুরের ওপর প্রবল গোলাবর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। শুরু হলো রক্তক্ষয়ী হাতাহাতি যুদ্ধ। আমার সংগীদের নিয়ে মূল কোম্পানির সঙ্গে মিলিত হয়ে আমরা আক্রমণ শুরু করলাম। সে কি মরণপণ যুদ্ধ! সে কি মরণপণ যুদ্ধ! লামনিগ্রাম-এর দিক থেকে জৈন্তাপুর আক্রমণ প্রাথমিক অবস্থায় বেশ ফল লাভ করে কিন্তু বড় নদীর তীর সম্পূর্ণ এন্টি পার্সোনাল মাইন দ্বারা আবৃত থাকায় বেশি দূর অগ্রসর হওয়া যায়নি। ততক্ষণে উত্তর দিকের যশপুর এলাকায় প্রচণ্ড চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। কয়েকটা বাঙ্কার আমাদের যোদ্ধারা ধ্বংস করে। প্রচণ্ড মর্টার গোলা নিক্ষেপ করে ও স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের দ্বারা মাইন বিস্ফোরিত করে। পাক আর্মির অনেকে হতাহত হয়। আমাদের পক্ষে ১ মৃত ও ১১ জন গুরুতর আহত হয়। আমার কোম্পানির ৫ জন সহযোদ্ধা মাইন ফিল্ডের মধ্যে পতিত হয়। আমার সামনেই সহযোদ্ধা আব্দুল মালেক যার ডান হাঁটুর নিচ পুরো চলে গেছে মাইনের দ্বারা। আমি আমার গলায় তাঁর হাত দিয়ে ধরতে বলি এবং কোনো প্রকারে মাইন ফিল্ড অতিক্রম করি। বাকি আহত ৪ জন সহযোদ্ধাকে অতিকষ্টে আমরা মাইন ফিল্ড থেকে বের করে নিয়ে আসি। যুদ্ধের শেষে সেক্টর কমান্ডার আমাদের সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার পর প্রথমে শিলং ও পরে পুনায় পাঠানো হয়। মুক্তিকামী অকুতোভয় প্রাণগুলো শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই দুঃসহ জীবন ছিল না। দুঃসহ জীবন যুদ্ধোত্তর স্বাধীন বাংলাদেশেও সুযোগ্য নেতৃত্বের অভাবে চেপে বসল। ২০০২ সনেও বীরসেনা মালেককে আমি জৈন্তাপুর বাস স্ট্যান্ডে ভিক্ষা করতে দেখি। শুধু আমার দিকে সে নীরবে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল। আমার সান্ত্বনা দেবার ভাষাও প্রায় ছিল না। চূড়ান্ত পরিকল্পনা ও বিজয় যৌথ বাহিনীর ইকো ফোর্স ও ৫ নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাসহ জৈন্তাপুর সিলেট এক্সিস-এ অগ্রসর হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সিলেট দখলের জন্য উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিম ৩টি পথে সিলেটের দিকে অগ্রসর হওয়ার রাস্তা বের করা হয়ঃ ক. কোম্পানীগঞ্জ- গোয়াইনঘাট-সিলেট এক্সিস, খ. তামাবিল-জৈন্তপুর সিলেট, গ. করিমগঞ্জ-কানাইঘাট সিলেট এক্সিস, তামাবিল জৈন্তাপুর-সিলেট এক্সিস-এ তামাবিল-জৈন্তপুর রাস্তা ধরে অগ্রসর হওয়া এবং এই এক্সিস-এ প্রধান আক্রমণ রচনা করা হয় চূড়ান্ত সৈন্য সমাবেশ নিয়েঃ
ক. ৩ই বেঙ্গল ও ৮৬ বি এস এফ (BSF Border Secure force) কোম্পানি গোয়াইনঘাট-সিলেট এক্সিস।
খ. গুর্খা ব্যাটালিয়ান, বিএসএফ-এর একটি কোম্পানি ও মুক্তাপুর সাব-সেক্টরের সকল মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ছিল এটি ব্যাটারি ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি, ও ১২০ মি.মি মর্টার তামাবিল-সিলেট-জৈন্তপুর এক্সিসে।
গ. ১ই বেঙ্গল রেজিমেন্ট করিমগঞ্জ-কানাইঘাট-সিলেট এক্সিসে। ৮ মাউন্টেইন ডিভিশনের ব্রিগেভ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ওয়ার্টকে প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ শেষে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করেন যা নভেম্বর ১৯৭১-এর শেষ সপ্তাহে পূর্ণতা লাভ করে, শুধু অপেক্ষা সবুজ সংকেতের। পরিকল্পনা হলো সম্পূর্ণ এরিয়া যত শীঘ্র সম্ভব শত্রুমুক্ত করা এবং দ্রুততার সঙ্গে সিলেট পৌঁছা। ৫/৫ ব্যাটিলিয়ান ও আমার কোম্পানি অগ্রগামী দল হিসেবে যুদ্ধের প্রথম দিক থেকে শেষ পর্যন্ত (পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণ ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিকাল ৫টা এম সি কলেজ গেটের সামনে) যুদ্ধ করে। অবশেষে চূড়ান্ত সংকেত এল ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১। আমরা শত্রুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। আমাদের সামনে ছিল পাকিস্তান আর্মির বসানো মাইন ফিল্ড। এক কেজি ওজনের চাপ পড়লেই মাটির নিচে পোতা মাইনে উড়িয়ে নিয়ে যাবে মুহূর্তের মধ্যে তাজা প্রাণগুলো। মাইন ফিল্ডের সামনে বিভিন্ন প্রাণী যেমন গরু, ছাগল ছেড়ে দেয়া হল। এভাবে একটা লে (Lane) সৃষ্টি করা হলো। মাইন আক্রমণ পাকা রাস্তা দিয়ে শুরু হলো। পাকিস্তান আর্মি রণে ভঙ্গ দিল। শিলং ও গৌহাটি থেকে বিমান হামলা সিলেট-হরিপুর খাদিমনগরে চালানো হলো। পাকিস্তানীরা সকল অস্ত্র-শস্ত্র, গাড়ি, গোলা-বারুদ, রসদ রেখে প্রাণ নিয়ে প্রথমে দরবস্ত ও পরে হেমুতে পলায়ন করল। যাবার সময় সকল রিজার্ভ ডেমোলিশন লাগানো ব্রিজগুলো ভেঙ্গে দিয়ে গেল। আমরা অপ্রতিরোধ গতিতে জৈন্তাপুর থানা ও দরবস্ত ইউনিয়নের প্রায় সকল জায়গা ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ দখল করলাম। এই যুদ্ধে ৩ ভারতীয় জোয়ান ও আমার ২ জন মুক্তিযোদ্ধা নিহত হন এবং প্রায় ১৫ জন আহত হয়। পাকিস্তানীদের ক্ষয়ক্ষতি সেই তুলনায় কয়েকগুন বেশি ছিল।
[৪১] জয়ন্ত কুমার সেন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত