You dont have javascript enabled! Please enable it!

জমিদারহাট অপারেশন-২, নোয়াখালী

তখন রমজান মাস। নভেম্বর মাসের মাজাহ্মাঝি হবে। নোয়াখালীর জমিদারহাটে পাকবাহিনী মাঝেমাঝেই আসে। সেখানে ৭/৮ জন বাবসায়ি তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। খবর পেয়ে কাজির হাট থেকে ৩/৪টি রিকশা যোগে ৮/১০ জন মুক্তিজদ্দাহ জমিদার হাটে গেলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন, শৈলেন অধিকারী, ওয়াহাব, মোশ্তফা রগিক প্রমুখ। অস্ত্র চাদরের নিচে গুজে রেখে ারা বাজারে ঢুকলেন। বাজারে ঢুকে দেখলেন, লোকজন ইফতার করছে। ইফতারের পরপর তাদের ৪/৫ জনকে ধরে আনা হল। তাঁদেরকে কোনো আঘাত না করে বি.এল.এফ কমান্ডার মাহ্মুদুর রহমান বেলায়েত বললেন, “ তোমাদের ছেড়ে দেয়া হবে যদি তোমরা বলো জে, হানাদারবাহিনির সমস্ত খবর আমাদের দিবে। তারা যদি বলে কেন তোমাদের ধরে নিয়ে এসেছি? তোমরা বলবে আমরা তোমাদের কাছ থেকে টাকা চেয়েছি।’ তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে জমিদার হাটের পার্শ্বের গ্রামে সেতুভাঙ্গার দক্ষিণ পার্শ্বে এবং জমিদার হাটের মাঝামাঝি কিছুটা উত্তর পার্শ্বে ৭/৮ জন লোককে মেরে ফেলে।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!