You dont have javascript enabled! Please enable it!

চিলমারী যুদ্ধঃ বর্ণনা ১, কুড়িগ্রাম

চিলমারী একটি নদীবন্দরের নাম। কুড়িগ্রাম জেলার একটি থানাও বটে। আর আব্বাসউদ্দিন আহমদের বিখ্যাত গানের ‘ হাঁকাও গাড়ি তুমি চিলমারীর বন্দরের’ বন্দর। ব্রক্ষপুত্র নদের পশ্চিম তীর এর অবস্থান। সেখান থেকে মাত্র কয়েক মাইল দক্ষিণে গেলে ব্রক্ষপুত্র এবং তিস্তার সংযোগ স্থান। নদীপথে চিলমারী সারাদেশের সঙ্গে সংযোগ সৃষ্টি করেছে। রেলওয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলার সঙ্গে চীলমারী থেকে রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ রয়েছে। তাই এই থানার গুরুত্ব ছিল দু’পাশেই সমধিক। একটা পর্যায়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী চিলমারীর দখন নিয়ে অবস্থান শক্ত করে। কিন্তু ব্রক্ষপুত্রের অন্য তীরে রৌমারী-রাজিপুর ছিল মুক্ত এলাকা। পাকিস্তানীরা সেখান থেকে আক্রমণ পরিচালনা করেছে রৌমারীতে বারবার। রাজিবপুরেও করেছে। এক পর্যায়ে তারা দখল করে নিয়েছিল কোদালকাঠি ইউনিয়ন। কিন্তু বেশি আর অগ্রসর হতে পারেনি।
চিলমারীতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গড়ে তোলে বিরাট বাহিনী। শক্তি সমাবেশ ঘটায় প্রচুর। যতটুকু সংবাদ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছিল তাতে জানা যায়, নিয়মিত বাহিনীর একটি এবং ইপিকাফের-এর একটি কোম্পানি অবস্থান করেছিল সেখানে। সাথে দুই কোম্পানি রাজাকার। এছাড়াও পুলিশের একটি প্লাটুন ছিল তাদের সাথে। এদের অবস্থান ছিল চিলমারী রেলওয়ে স্টেশন, চিলমারী হাইস্কুল এবং ওয়াপদা ভবনে। তাদের সাথে ছিল এইচ.এম.জি ৬০ মি.মি মর্টার, এল. এম.জি এবং আধা- স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। মুক্তিবাহিনী সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিহত করার তারপরও ওরা স্বস্তিতে ছিল না। মুক্তির ভয়ে সার্বক্ষণিক থাকত ভিত। তাই প্রধান ক্যাম্পের দক্ষিণে জোড়াগাছ জুনিয়র স্কুল এলাকায় স্থাপন করে আরেকটি রাজাকার ক্যাম্প। চিলমারী থেকে জেলা সদর কুড়িগ্রাম পর্যন্ত। আর বালাবাড়ী রেলস্টেশনে ওরা নির্মাণ করে সুদৃঢ় বাঙ্কার। স্থাপন করে এইচ.এম.জি। রাখা হয় আর্টিলারিও। আর মোতায়ন করা হয় নিয়মিত বাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য। ২০ জন পুলিশ ছিল চিলমারী থানায়। এর সাথে যুক্ত করা হয় আরও ৫০ জন রাজাকার। ফলে থানাও সুরক্ষিত বলে তাদের ধারণা ছিল। অবশ্য থানায় গোলাবারুদের মজুদ ছিল বিরাট। ওখান থেকে উলিপুর থানা সদর পর্যন্ত রেল ও সড়কপথের সেতু এবং কালর্ভাটে স্থাপন করে নিরাপত্তা চৌকি। আর প্রতিটি স্থানে সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকত রাজাকার বাহিনী।
রৌমারীতে সুরক্ষিত করে গড়ে তোলা মুক্তাঞ্চলের জন্য চিলমারী একটি হুমকি হিসেবে গণ্য করা হতো। সেখান থেকে প্রায়ই পাকহানাদার সৈন্যরা রৌমারীর দিকে অভিযান পরিচালনা করত। তাদের সেই অগ্রাভিযান ইচ্ছাকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। অন্যথায় সবসময়ই একটি হুমকি থেকে যাবে। তাই অপারেশন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এছাড়াও শত্রুপক্ষের শক্তি খর্ব করারও লক্ষ্য ছিল পরিকল্পনায়। আক্রমণ করে মুক্তিসেনাদের শক্তি-সাহস সম্পর্কে পাকিস্তানীদের একটি ধারণা দেয়া। যাতে ওরা ভয়ে মনোবল হারিয়ে ফেলে। অন্যদিকে পাকিস্তানীদের মজুদ থেকে অস্ত্র এবং গোলাবারুদ দখল করে নেওয়ায় একটি উদ্দেশ্য ছিল। পরিকল্পনামাফিক ১৭ অক্টোবর বিকেলে চালানো হয় আক্রমণ।
অপারেশন পরিকল্পনা ছিল এস.এফ এবং এফ. এফ দু’ধরনের মুক্তিযোদ্ধার অংশগ্রহণ। কিন্তু সেই তুলনায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায় নি। তাই প্রতিটি গ্রুপে ৪-৫টি করে রাইফেল, প্রত্যেকটি একটি করে হ্যান্ড গ্রেনেড সরবরাহ করা হয়। এর মাসখানেক আগেই রেকির দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল চিলমারীতে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনী কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেম চাঁদকে। চিলমারী এবং উলিপুরে রেকি কার্যক্রম শুরু হয় তখন থেকেই। শত্রুর প্রাত্যহিক গতিবিধি, তাদের সংখ্যা, অবস্থান, অস্ত্রের ধরন ও পরিমাণ, গোলাবারুদ ইত্যাদি নিয়ে নানা তথ্য বিশ্লেষণ করে তারপর প্রণীত হয় পরিকল্পনা। এ নিয়ে একটি নকশা তৈরি করেছিলেন পুলিশের ওয়ারেন্ট আফিসার শফিক উল্লাহ। নির্দিষ্ট দিনের অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন গ্রুপকে নির্দিষ্ট স্থানে প্রেরণ করা হচ্ছিল। কাট অফ পার্টি নিজ নিজ অবস্থানে চলে যেতে হয়েছিল ১৫ অক্টোবর। তারপর ১৬ অক্টোবর সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের অ্যাকশন পার্টির নেতাদের নিয়ে বসেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে। প্রথমত, দলটিকে দু’ভাগে ভাগ করে একটি অংশের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব দেন নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নানকে। অন্য অংশটির দায়িত্ব পান প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কমান্ডো আবুল কাশেম চাদ। এ দুটি গ্রুপকে বিভক্ত করে গঠন করা হয়েছিল আরও অনেক গ্রুপ। চাঁদের গ্রুপকে ভাগ করে থানাহাট পুলিশ স্টেশন, বালাবাড়ী রেলস্টেশন ও রাজারভিটায় আক্রমণ করার জন্য তিনটি ভিন্ন প্লাটুন গঠিত হয়েছিল আরও অনেক গ্রুপ। চাঁদের গ্রুপকে ভাগ করে থানাহাট পুলিশ স্টেশন, বালাবাড়ী রেলস্টেশন ও রাজারভিটায় আক্রমণ করার জন্য তিনটি ভিন্ন প্লাটুন গঠিত হয়েছিল। তারা রৌমারি থেকে ঘুঘুমারী হয়ে বনগ্রাম গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করে। একইভাবে রেলস্টেশন, ওয়াপদা ভবন ও জোড়াগাছ আক্রমণ করার জন্য নির্দিষ্ট দলটি পৌছায় গাজীরপাড়া চরে। সাব-সেক্টর কমান্ডার লে. হামিদুল্লাহ খানও অবস্থান নেন গাজীরপাড়ায়। নৌকায় করে ফিল্ডগান নিয়ে আর্টিলারি দলও ছানিয়াপড়া নিয়ে অবস্থান গ্রহণ করে। মজার ব্যাপার হলো, ছালিয়াপাড়ার ছোট ছোট ডিঙি নৌকাকে দু’টি একত্র করে বেঁধে তাতে বসানো হয়ছিল কামান। আর বেতার যোগাযোগসহ কমান্ড পোষ্টেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে অপারেশনে। রাজশাহী মেডিকে কলেজের ছাত্র সাজেদতুল ইসলাম সাজুর নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিমও গঠন করে নিয়ে যাওয়া হয় কমান্ড পোষ্টের কাছে।
শুরু হলো অ্যাকশন। রাজারভিটা মাদ্রাসার একশ গজ উত্তরে একটি নালা। এর পাশে অবস্থান নেয় একটি গ্রুপ। এর মধ্যে তিনভাবে বিভক্ত হয়ে মুক্তিসেনারা উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে বিভিন্ন অবস্থান থেকে আক্রমণ চালায়। রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমণ করলে শুরু হয় প্রচণ্ড যুদ্ধ। চলে এক ঘন্টাব্যাপী। এরপর রাজাকাররা পশ্চিমের বিল দিয়ে পালানোর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মুক্তিসেনারা তাদের ধাওয়া করে। ঘেরাও করে আত্মসমর্পণ করতে আহবান জানায়। রাজাকাররা অন্যোন্যপায় হয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ৭০ জন রাজাকারের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে রাজারভিটা মাদ্রাসা ক্যাম্পটি। একই সাথে পাওয়ায় যায় ৪৫টি নিট থ্রি রাইফেল। তবে আত্মসমর্পণের আগেই যুদ্ধে প্রাণ দিতে হয়েছিল ১২ জন রাজাকার। আহত হয়েছিল অনেকেই। চিলমারীতে কুখ্যাত শান্তি কমিটির সভাপতি ছিল পঞ্চু মিয়া। সে নিজেও ঐ যুদ্ধে অংশ নেয়। আত্মসমর্পণ না করে পালাতে চায় পঞ্চু মিয়া। কিন্তু পারেনি পালিয়ে যেতে। ধরা পড়ে সে মুক্তিসেনাদের হাতে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় রৌমারীতে। রাজারভিটা মাদ্রাসা ক্যাম্প আক্রমঙ্কারী গ্রুপটি বিরাট সাফাল্য ফিরে যায় রৌমারী। চিলমারী রেলস্টেশন থেকে দু’তিন কিলোমিটার দক্ষিণে তখন ছিল জোড়াগাছ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে অবস্থান করছিল ৫০ জন রাজাকার। পাশে রাজাকার কমান্ডার ওয়ালি মহাম্মদের বাড়ি। অতর্কিত আক্রমণ চালায় সেখানে অন্য একটি গ্রুপ। প্রচণ্ড আক্রমণ প্রতিহত করতে রাজাকাররা হিমশিম খাচ্ছিল। মাত্র ৪৫ মিনিট যুদ্ধ চালিয়েই তারা পালানোর পথ খোঁজে। কিন্তু পালাতে পারে নি। তাই অস্ত্র উঁচিয়ে আত্মসমর্পণ করার ঘোষণা দেয়। সাথে ছিল ৩২টি ৩০৩ রাইফেল। পুরো রাজাকার গ্রুপ আত্মসমর্পণ করে অস্ত্রসহ। কিন্তু তাদের কুখ্যাত কমান্ডার ওয়ালি মহাম্মদ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। আত্মসমর্পণ না করে কোনো রকমে চলে যাবে পাকসেনাদের ডোরায়। কিন্তু সে সুযোগ পায় নি সে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ধরা পড়ে যায়।
একই সময়ে আক্রমণে পরিচালনার কথা ছিল চিলমারী থানায় কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সে গ্রুপটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌছতে সক্ষম হয় নি। কোম্পানি কমান্ডার আবুল শুরু করতে সঙ্কেত দেয়া হয়েছে। অন্যান্য স্থানে চলছে যুদ্ধ। গোলাগুলির শব্দে থানা থেকে বাইরে আসে ভারপাপ্ত কর্মকর্তা। হয়তো অনুধাবন করার চেষ্টা করছে পরিস্থিতি। এ সময় কমান্ডার চাঁদ একেবারেই থানার সামনে। সাহস নিয়ে চিৎকার করে উঠলেন। পুলিশ কর্মকর্তাকে বললেন, থানার চারপাশ ঘেরাও করে আছে মুক্তিবাহিনী। অতএব ও মুহূর্তেই তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। সব ফোর্সসহ ভীতসস্ত্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক আত্মসমর্পণ করে। এ সময় প্লাটুন কমান্ডার নূর মুহাম্মদ আলো এবং সহকারী কমান্ডার সোলায়মান পৌঁছে যান থানা চত্বরে। তাদের গ্রুপ ঘেরাও করে থানা। আর যায় কোথায়? বেরিয়ে আসতে হলো ২০ জন পুলিশ এবং প্রায় ৫০ জন রাজাকার। সবাই নিজেদের সমর্পণ করে দেয় বাংলার মুক্তিসেনাদের কাছে। সেখান থেকে পাওয়া যায় ৬৭টি ৩০৩ রাইফেল এবং প্রচুর গোলাবারুদ। এরপর রেলস্টেশনের কালর্ভাটে প্রহারারত ৮ জন রাজাকারকেও আত্মসমর্পণে বাধ্য করা হয়েছিল। কমান্ডার আব্দুল জাব্বার এবং কমান্ডার আবুল কাশেম চাঁদের কাছে বিনা শর্তে। রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে। এরপর পাকবাহিনী একটি গ্রুপ রাজাকারদের ওপর বিরক্ত হয়ে গালাগাল দিতে দিতে আসছিল কালর্ভাটের দিকে। তখনো জানতো না তারা মুক্তিবাহিনীর অবস্থান এবং অভিযান সম্পর্কে। তাই চলে আসে কালর্ভাটের কাছাকাছি। তখনই মুক্তিসেনারা ওপেন করে ফায়ার। সম্ভবত কমান্ডার আলো সূচনা করেন অগ্নিবর্ষনের। তাৎক্ষণিক মারা যায় দু’জন পাকসেনা। অন্যরা ক্রস করে স্টেশনের দিকে পালিয়ে যেতে সক্ষ্ম হয়। তারপরই পাকসেনারা শুরু করে পাল্টা আক্রমণ। সে সময় কমান্ডার আলো আহত হয়েছিল।
এ যুদ্ধ চলাকালে ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর তাহের নিজেই ছিলেন ছালিয়াপাড়ায়। সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসেন গাজীপাড়া চার। তারপর একেবারে থানার কাছে। সেখান থেকে আর্টিলারি গ্রুপের নির্দেশ পাঠান রেলস্টেশনের গোলা নিক্ষেপ করত। এতে নিহত হয়েছিল আরও দু’জন পাক হায়েনা। কিন্তু আর্টিলারির গোলা তেমন কার্যকর হচ্ছিল না। আর ততক্ষণে আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য সাধিত হয়ে গেছে। তাই মেজর তাহের মুক্তিদের প্রত্যাহার করে নেন ঐ স্থান থেকে।
বালাবাড়ীতে ব্যাপক সংঘর্ষে পাকিস্তানী সৈন্য বাহিনীর পাঁচজন নিয়মিত সৈন্য প্রাণ হারায়। অন্যদিকে বাংলার দু’জন শ্রেষ্ট সন্তানও শহীদ হয়েছেন সেখানে।
নায়েক সুবেদার মান্নাননের গ্রুপ একটি রকেট লাঞ্চার, একটি দুই ইঞ্চি মর্টার এবং কয়েকটি এল.এম.জি নিয়ে আক্রমণ রচনা করে চিলমারী ওয়াপদা ভবন। প্রচণ্ড আক্রমণে পর্যুদস্ত পাকবাহিনী প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যুহ ছেড়ে পেছনে গিয়ে দ্বিতীয় ব্যুহে আশ্রয় নেয়। তবে পতন ঘটেনি শত্রু অবস্থানের। পাক সেনাবাহিনী শেষ পর্যন্ত তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সমর্থ হয়। ১৭ অক্টোবরের পুরোদিন যুদ্ধ চালিয়ে রাতে সেক্টর কমান্ডার মেজর তাহের এ বাহিনীকে সরে আসার নির্দেশ দেন। এখানকার যুদ্ধে পাকিস্তানীদের অসংখ্য সৈন্য নিহত হয়েছে বল জানা যায়। মুক্তিবাহিনীও হারিয়েছে ছয়জন সহযোদ্ধাকে। আহত হয়েছেন দু’জন। যুদ্ধ শেষে প্রতিটি গ্রুপ দখলকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বন্দীদের নিয়ে নিরাপদে চলে আসে রৌমারী। এ যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার মেজর তাহের, সাব-সেক্টর কমান্ডার ফ্লাইট কমান্ডার এম.হামিদুল্লাহ, কমান্ডার আবুল কাশেম চাঁদ, খায়রুল আলম, নায়েক সুবেদার মান্নান ছাড়াও বিশেষ অবদান রেখেছেন আবদুল বারী, আবুল কাসেম, এলাহী বকস, আবদুল আজিজ, মোঃ শামসুদ্দিন, লে. আবদুল মান্নান, আবদুল হান্নান, শাফায়েত আহম্মদ, আবদুল হাই-১, আবদুল-২, আনোয়ার হোসেন, হেলাল উদ্দিন ও মুসলেম উদ্দিন [(প্রকৌশলী, আবুল কাশেম চাঁদ, নায়েব সুবেদার আবদুল মান্নান ও হামিদুল্লাহ খান বীরউত্তমের সাক্ষাৎকারভিত্তিক নিবন্ধ ঐতিহাসিক চিলমারী যুদ্ধ। রণাঙ্গণ ৭১; সাতাশটি বৃহৎ যুদ্ধ, মোহাম্মদ সা’দাত আলী সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ১৬১-১৬৯০]
সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দুই ব্যাটালিয়ন মুক্তিযোদ্ধা চিলমারী অপারেশন অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও ভারতীয় মাউন্টেন ব্রিগেডের একটি সেকশন যোগ দিয়েছিল সে যুদ্ধে। তিনি আরও জানান, সে যুদ্ধে ১০০ পাকিস্তানী সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। অন্যপক্ষে আমাদের চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ বরণ করেন।
[৪৭] তাজুল মোহাম্মদ

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!