You dont have javascript enabled! Please enable it! চৌধুরীহাট রাউজয়ানের দুর্ধর্ষ রাজাকার নেতা টিক্কা খান হত্যা, চট্টগ্রাম - সংগ্রামের নোটবুক

চৌধুরীহাট রাউজয়ানের দুর্ধর্ষ রাজাকার নেতা টিক্কা খান হত্যা, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের রাউজন থানার চৌধুরীহাট ছিল এই অপারেশনের স্থান। এই অপারেশনে পরিকল্পক ছিলেন ক্যাপ্টেন করিম। এছাড়া অধ্যাপক সামসুল ইসলাম ও প্রদ্যুৎ কুমার পালসহ প্রায় ২০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন এই যুদ্ধে ক্যাপ্টেন করিম প্রদ্যুৎ পালকে পরিকল্পনা করতে বলেন ও এই অপারেশনের মূল দায়িত্ব দেন। প্রদ্যুৎ পাল পরিকল্পনা করেনঃ রাজাকার টিক্কাখাঙ্কে চৌধুরীহাট বাজারে হত্যা কতা হবে। অন্য মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিবেন বাজারের চারপাশে/ পাশের রাজাকার ক্যাম্প থেকে কেউ প্রতিরোধ করতে আসলে তাঁদেরকে আক্রমণ করার জন্য অবস্থানে থাকবেন ৫ জনের এক মুক্তিযোদ্ধা দল। অপারেশনের দিন বিকালে বাজারের চতুর্দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান নেয়া শেষ হলো। দুলাল নামে একজন গাইড মুক্তিযোদ্ধা প্রদ্যুৎ পালকে বাজারের দক্ষিণ দিকে নিয়ে দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় রাজাকার টিক্কাখাঙ্কে দেখিয়ে দেন। প্রদ্যুৎ পাল গাইডকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলেন। এরপর প্রদ্যুৎ পাল তাঁর কাধের চটের থলে থেকে এসএমজি বের করে টিক্কাখাঙ্কে হ্যান্ডস আপ করতে বলেন। টিক্কা খান তড়িৎ গতিতে তাঁর রিভল্বার বের করার চেষ্টা করলে দুলাল তা কেড়ে নেন। টিক্কাখান পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে প্রদ্যুৎ অশ্ত্র তাক করেন। ইতোমধ্যে ক্যাপ্টেন করিমের নেতৃত্বে গুলি করতে করতে বাজারে প্রবেশ করেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রদ্যুৎ পাল টিক্কা খাঙ্কে গুলি করতে করতে উদ্যত হলে ক্যাপ্টেন করিম হল্ট বলে থামিয়ে দেন, ও নিজেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন। এ সময় ২ জন রাজাকার তাদের নেতাকে হত্যাকারী মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি করতে উদ্যত প্রদুৎ পাল তাঁদেরকে ব্রাশ ফায়ার করেন, ২ জন ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে মুক্তিযোদ্ধারা নিজস্ব আশ্রয়স্থলে নিরাপদে ফিরে আসেন।
[৫৯৭] কে. এম. আহসান কবীর

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত