চারুপাড়া যুদ্ধ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত ধোবাউড়া থানার চারুয়াপাড়া অবস্থিত এই চারুয়াপাড়ায় ইপিআর ক্যাম্পটি মুক্তিযুদ্ধে শুরু থেকেই মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল। পাকবাহিনী এই সীমান্তে ঘাঁটি দখলের জন্য বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা চালায়। মুক্তিবাহিনীর সতর্কতায় পাকবাহিনী এই সীমান্ত ঘাঁটি দখলে ব্যর্থ হয়।
১৫ই আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টার দিকে পাকবাহিনী এই ক্যাম্প আক্রমণ করে। স্থানীয় পাকসেনাবাহিনি কমান্ডার ক্যাপ্টেন আকরামের নির্দেশমতো পাকবাহিনীর একটি প্লাটুন মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের উপর জোরালো আক্রমণ চালায়। ১৬ ঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী অবস্থানকে দুর্বল করতে না পেরে ১৬ ই আগস্ট বিকেল ৪টার দিকে পাকবাহিনীর পশ্চাদপসরণ করে। এই যুদ্ধে ফেরদৌস ও গফুর নামে দু’জন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাতবরণ করেন। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধারা হলে তোফাজ্জল হোসেন চুন্ন, আব্দুল আজিজ, হাবিবুর রহমান, এবাদুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম, আব্দুল খালেক, আবুল কালাম আজাদ, ফজলুল হক, আবুল হাসিম, মোহাম্মদ সামসুদ্দিন, মকবুল হোসেন, সিরাজ ফকির, আনছার উদ্দিন, রজব আলী, দীপক সাংমা, মোহাম্মদ রফিক, শাফায়েত হোসেন, মাহবুব, ইদ্রিস, ফেরদৌস (শহীদ) আব্দুল গফুর (শহীদ) প্রমুখ।
চারুয়াপাড়া যুদ্ধটি ছিল একটি প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ। সীমান্ত অঞ্চল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে পাকবাহিনী এই যুদ্ধে সুবিদা করতে পারেনি। অন্যদিকে মেঘালয় সীমান্তের নিকটবর্তী হওয়ায় মুক্তিবাহিনীর আনুষাঙ্গিক অবস্থান ছিল সুবিধাজনক।
[৫৯৫] ফিরোজ খায়রুদ্দিন
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত