You dont have javascript enabled! Please enable it!

চাটখিলে যুদ্ধ, নোয়াখালি

১৯৬৯ সালের জুলাই আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এন.এস.এফ এবং জামাত ও মুসলিম লীগকে প্রতিহত করতে নোয়খালীর চাটখিলের আব্দুর রব চৌধুরীর দর্জি বাড়িতে একট ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপিত হয়। সেই ঘটনার জের হিসেবে ১৯৭১ সালের বর্ষাকালে স্থানীয় রাজাকার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব ২০ হতে ৩০ জন আর্মি সার্চ করে সরাসরি আব্দুর রব চৌধুরীর বাড়ি আক্রমণ করে। সোনাচাকা রোডের পশ্চিম দিকে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নেয় এবং পূর্ব পার্শ্বে পুকুর পাড়ে আর্মি এবং রাজাকাররা অংশ নেয়। এই যুদ্ধ শুরু হয় বিকেল তিনটার পরে। মসজিদের উপর থেকে ২০/২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা গুলি পরিচালনা করেন। আধাঘন্টা লড়াই এর পর মুক্তিযোদ্ধারা সারেন্ডার করে। পাকবাহিনী রামনারায়ণপুর সোনাচাকা বাজারের দক্ষিণে গান পাউডার নিক্ষেপ করে কিছু বাড়ি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। তৃতীয় ব্যাচ নোয়াখালীতে প্রবেশের সময় পাকিস্তানিদের সামনে পড়ে। বিভিন্ন গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধা মিলে তখন মুক্তিযোদ্ধা সংখ্যা প্রায় সাতশোর কাছাকাছি। জেলা কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়তসহ বিভিন্ন ডেপুটি কমান্ডার তাঁদের আনতে যান। যারা মারা যান তারা হলেন বেগমগঞ্জের কৃষ্ণপুরের শাহ্‌ আলম এবং বজরা হাইস্কুলের ছাত্র আব্দুর রহমান। চার জোন কমান্ডার ও জেলা কমান্ডার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ওয়ারলেস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জানা গেল, কুমিল্লার পাশে পাকবাহিনীর ক্যাম্পের সৈন্যরা এই প্রক্রিয়া ধরে ফেলে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত তথ্য তাঁদের কাছে চলে আসতে লাগল। উপরের নির্দেশে ওয়ারলেস মেসেজ পাঠানো বন্ধ করা হয়।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!