চরনগরদী গ্যাস স্টেশন ও শীতলক্ষ্যায় গ্যাসের লাইন ধ্বংস, নরসিংদী
শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার জন্য গ্যাসের পাইপ লাইন ও স্টেশন উড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০ আগস্ট রাত প্রায় ১টায় ন্যাভাল সিরাজের নেতৃত্বে ইমাম উদ্দিন ও শিবপুরের মজনু মৃধার সমন্বয়ে একটি ছোট দুঃসাহসীক দল চরনগরদীর তিতাস গ্যাসের সাবস্টেশনটির এক্সপ্লোসিভ দিয়ে উড়িয়ে দেয়। এই অপারেশন এতটা সফল হয় যে বিস্ফোরণের শব্দ ও প্রজ্বলিত শিখা প্রায় ১৫-২০ মাইল দূর থেকে শোনা ও দেখা যায়। সর্বত্র অজানা এক ভয়ের সঞ্চার অয়। নরসিংদী, ঘোড়াশাল ও পাঁচদোনায় অবস্থানরত পাকসেনারা এতে ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র ফেলে ঢাকার দিকে পালানোর উদ্যোগ নেয়। পরে জানা যায়, এরা মনে করেছিল যে ভারতীয় বিমানবাহিনী বোমা হামলায় চালিয়েছে। যাই হোক এই অপারেশনের ফলে ঘোড়াশাল শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েক দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ঘোড়াশালের কাছাকাছি স্থানে গ্যাসের পাইপ লাইন বিদ্ধস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এই অপারেশনে ন্যাভাল সিরাজ নৌবাহিনীতে তাঁর প্রশিক্ষণ যথার্থভাবে কাজে লাগান। নৌকার সাহায্যে নদীর মাঝে প্রায় ২০ ফুট পানির নিচে ডুব দিয়ে গিয়ে পাইপে Delay Switch এড় মাধ্যমে এটি উড়িয়ে দেয়া হয়।
[১২৭] সিরাজ উদ্দীন সাথী
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত