ঘোড়াশাল রেলব্রিজ ও রেলস্টেশন আক্রমণ, নরসিংদী
নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ঘোড়াশালে ঢাকা-ভৈরব রেললাইন শীতলক্ষ্যা নদীর উপর রেলওয়ে ব্রিজ অবস্থিত। আর ঘোড়াশাল রেলওয়ে ব্রিজের পূর্ব পাশে ঘোশাল রেল স্টেশনের অবস্থান। মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকেই (সঠিক তারিখ জানা যায় নি) হানাদার বাহিনী ঘোড়াশাল রেলস্টেশনে একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপন করে এবং জুলাই মাসের শেষের দিকে রেল ব্রিজটি দুপাশে সশস্ত্র পাহারার ব্যবস্থা করে। এর ফলে এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের চলাচল ব্যাহত হয়। নরসিংদী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদির প্রথমে ব্রিজটি ধ্বংসের চেষ্টা চালায় কিন্তু তিনি এতে ব্যর্থ হন। তখন মুক্তিযোদ্ধা কাদির ব্রিজটি ধ্বংসের আগে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের পাকসেনা ক্যাম্প আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কাদির প্রায় ১০০/১২০ জন সহমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের পূর্ব্দিকে রেললাইনের পাড় ঘেঁষে অবস্থান নেয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা সুযোগ বুঝে ক্যাম্প আক্রমণ করে। সেনা ক্যাম্পে অবস্থানরত পাকবাহিনীও পাল্টা আক্রমণ করে। উভয় পক্ষে গুলিবিনিময় শুরু হয় ও ৬ ঘন্টা ধরে তা চলে। অবশেষে মুক্তিবাহিনী যথেষ্ট চেষ্টা সত্ত্বেও ক্যাম্পটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটে যায়। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি।
[৫৯৪] তানজিলা তওহিদ
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত