You dont have javascript enabled! Please enable it!

ঘোড়াশাল সার কারখানা অপারেশন, নরসিংদী

সুইসাইড গ্রুপের গ্রুপ কমান্ডার নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘোড়াশাল সার কারখানায় নভেম্বর মাসে অপারেশন হয়। অপারেশন আগে ঘোড়াশাল সার কারখানার অবস্থান রেকি করেন বিমল চন্দ্র দাস (কনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা)। মিলের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জহুরুল সাহেবের কাছ থেকে নজরুল ইসলাম কেমিক্যাল রি-এ্যাকশন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে সার কারখানার ভেতরে ঢুকে অপারেশন করেন। তাঁকে কভার দেন সহযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম, বিধুভূষণ বর্দ্ধন, মোঃ আতাউর রহমান, আ. লতিফ, স্বপন কৃষ্ণ বর্দ্ধন, আ.রশিদ, আবুল হোসেন, কমল রোজারিও, রাম চন্দ্র দত্ত, হাবিবুর রহমান, আলাউদ্দিন মিয়া, মোঃ আতার হোসেন ভূঞা, মোঃ ইয়াসিন, ফরিদউদ্দিন, মোঃ মোতালিব মীর, মারটির রোজারিও, জোসেফ গোমেজ, নির্মল সিলভেষ্টার রোজারিও। পাকআর্মিরা মুক্তিযোদ্ধাদের লক্ষ্য করে সেল নিক্ষেপ করলে বিমলের বুক ভেদ করে পিছন দিক দিয়ে বের হয়ে যায়। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এখানে ১০০ জন পাকসেনা মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্রসহ বন্দি হয়। মুক্তিযোদ্ধারা দুজন মেয়েকে এখান থেকে উদ্ধার করেন। একজন পাকসেনাকে (পশতু ভাষী) ধরে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে বাটা কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার মি. আউডারলে-এর মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসে পাক মিলিটারি ক্যাম্পে হস্তান্তর করেন।
[১১০] রীতা ভৌমিক

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!