গোমতী নদীতে অ্যাম্বুশ, কুমিল্লা
একটি গেরিলাদল সৈয়দ নগর ওয়ারলেস ষ্টেশন এবং ইলিয়টগঞ্জ রাস্তার সেতু ধ্বংস করার জন্য দাউদকান্দিতে গিয়ে গৌরীপুর নামক স্থানে তাদের ঘাঁটি তৈরি করে এরপর শত্রুদের গতিবিধি সম্বন্ধে খোঁজ খবর নেয়। ১৩ জুলাই সন্ধ্যা ৮ টার সময় প্লাটুনটি দাউদকান্দির উত্তরে গোমতী নদীতে পাকসেনাদের একটি টহলদারী স্পীড বোটকে অ্যামবুশ করে। এই অ্যামবুশে একজন লেফটেন্যান্ট এবং ২০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অফিসারটি র্যাঙ্ক ব্যাজ এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসা হয়। এরপর দলটি ১৪ জুলাই রাতে সৈয়দ নগর ওয়ারলেস ষ্টেশনটি ধ্বংস করে। দলের অপর অংশ ইলিয়টগঞ্জের নুতুন সেতুটি ডেমোলিশন লাগিয়ে দু’টি স্প্যান উড়িয়ে দিয়ে গেরিলা দলগুলো নিরাপদে হেড কোয়ার্টারে ফেরত আসে। ১৭ই জুলাই কুমিল্লা-দাউদকান্দি সড়কে মুক্তিবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে পাকদের দুটি ট্রাক, ১৪ টি জীপ ধ্বংস এবং ১ জন মেজর, ১৪ জন পাক সেনা, ৮ জন রাজাকার, ১ জন ড্রাইভার নিহত হয়। ২০ জুলাই সকালে কুমিল্লা শহরে পাকসেনাদের অবস্থানের উপর মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা মর্টারের সাহায্যে গোলা নিক্ষেপ করে। পাকসেনারা ভীত সস্ত্রস্ত হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে দিকে ছুটাছুটি করতে থাকে।
[১৮] আবুল হাসেম হৃদয়
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত