You dont have javascript enabled! Please enable it!

গন্ধবপুর চরে পাকআর্মিদের আক্রমণ, নারায়ণগঞ্জ

অক্টোবর মাসের শেষ বা নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে প্রায় ৩৫ জন পাকসেনা গাউছিয়া জুট মিলের ক্যাম্প ত্যাগ করার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে মুড়াপড়া থেকে নৌকযোগে রওনা দেন। মুক্তিযোদ্ধারা এ সংবাদ পাওয়া মাত্র আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে মোঃ ইয়াদ আলী, শহীদ ও আরো মুক্তি্যোদ্দা গন্ধবপুর চরে পাকআর্মিদের আক্রমণ করার জন্য চরের পূর্ব পাশে অবস্থান নেন। চরের মধ্যে তখন প্রচুর পানি। পাকআর্মিরা চরে পশ্চিম পাশ অর্থাৎ নদীর পাড় দিয়ে এগুচ্ছিল। আব্দুল মান্নান থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও একটি অটোমেটিক স্টেনগান দিয়েই শত্রুর মোকাবেলা করতে থাকেন। সহকারী মুক্তিযোদ্ধা শহীদকে খবর দিয়ে পাঠান তাঁরা যেন শীঘ্রই চলে আসেন। কারণ পাকআর্মিরা শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে রূপসীর দিকে আসছে। রূপসী নদীর পাড়ে বাঙ্কার তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধারা যেন পাকসেনাদের আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত থাকে। পাকসেনারা রূপসী পৌঁছানোর সাথে সাথেই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ করেন। দু’পক্ষের মধ্যেই গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা কয়েকজন পাক আর্মিকে ধরে একটি রশি দিয়ে বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন। নৌকা থেকে আর্মস এ্যামুনেশন করে তা ডুবিয়ে দেন।
[১১০] রীতা ভৌমিক

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!