খিলাত অ্যাম্বুস, কুমিল্লা
৬ জুন একটি ডীমোলিশন দল লাকসামের দক্ষিণে আসে। দলটি খিলাতে ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন পুঁতে রাখে। সকাল ৫টায় কুমিল্লা থেকে পাকিস্তানীদের ২টি জীপ ও একটি ট্রাক নোয়াখালী যাবার পথে মাইনের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যায় এবং সে সঙ্গে ৪ জন পাক অফিসার এবং ৭ জন সৈন্য নিহত হয়। আরেকদল মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার দক্ষিণে দানপুর বিওপির নিকট পাকসেনাদের জন্য আম্বুশ পেতে রাখে। কিন্ত পাকসেনারা দালালদের মাধ্যমে খবর পেয়ে যায়। কুমিল্লা থেকে পাকসেনাদের একজন অফিসার সহ এক প্লাটুন গ্রামের ভিতর দিয়ে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের আম্বুশ দলটিকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করে। অ্যাম্বুস পার্টি তৎক্ষণাৎ কিছু পিছনে গিয়ে শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এ যুদ্ধ ঘন্তাখানেক স্থায়ী হয়। এই খবর পেয়ে লেঃ মাহাবুব ও লেঃ কিবিরের নেতৃত্বে তৎক্ষণাৎ আম্বুশ দলটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে। তারা পাকসেনাদের দলটিকে ঘিরে ফেলে। পাকসেনারা দুদিক থেকে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের ভিতর লুকিয়ে পড়ে এবং দালালাদের সাহায্যে এ ঘেরাও থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এ সংঘর্ষে পাকদের ৫জন সৈন্য নিহত হয়।
[১৮] আবুল কাশেম হৃদয়
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত