You dont have javascript enabled! Please enable it!

কোম্পানীগঞ্জ গার্লস স্কুল আক্রমণ, নোয়াখালী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ গার্লস স্কুলে ২২ হাজার পাকিস্তানী সৈন্য অবস্থান করেছে এবং সেখানে তারা নারী নির্যাতন করছে এই খবর পেয়ে সুবেদার শামছুল হক এবং তাঁর বাহিনী (১০ জন সৈন্য) নিয়ে সেখানে যান। নুরুন্নবী, নূর মোহাম্মদ, শাহাজান প্রমুখ বীরযোদ্ধাসহ দাগনভূঞা দিয়ে যেতে আরও অনেক যোদ্ধা জড়ো হয় এবং কোম্পানীগঞ্জ ই.পি.আর,ই,বি আর এবং আনসার কমান্ডাররা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। রাত তখন ২টা। কোম্পানীগঞ্জ গার্লস স্কুলের দোতলা থেকে শোনা যাচ্ছিল শব্দও, তাকবীর, আল্লহ আকবর। বসুরহাট ব্যাংকের সামনে গেইটের কাছে মেশিনগান দিয়ে ১০০ রাউন্ড গুলি করা হল। সঙ্গে সঙ্গে চলল গ্রেনেড নিক্ষেপ। তাদের সঙ্গে রাজাকার চিৎকার করে বলল, ‘মুক্তিবাহিনী কাফের, জয় বাংলা ধ্বংস হোক’।প্রত্যেকের হাতে পাকিস্তানী পতাকা। সুবেদার শামছুল হকের পায়ে গুলি লাগল। তাঁর সঙ্গী নুরুন্নবী মাটি দিয়ে গামছা দিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করলেন। ২২ হাজার সৈন্যকে মাত্র ১০ জন ব্রাশফায়ার করেছেন। ভোর আটটা পর্যন্ত এই যুদ্ধে চললো। তারা মেশিনগান দিয়ে গুলি করা শুরু করল। সুবেদার শামছুল হক তাঁর ট্রুপস প্রত্যাহার করলেন।
[৪৪] জোবাইদা নাসরীন

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত