You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.15 | কুমিল্লার রণাঙ্গন-২, কুমিল্লা - সংগ্রামের নোটবুক

কুমিল্লার রণাঙ্গন-২, কুমিল্লা

বিগ্রেডিয়া ইকবাল শফিমেজর খালেদ মোশাররফকে এক কোম্পানি সৈন্য সমেত শমসেরনগর এবং বাঙালি ক্যাপ্টেন সাফায়েত জামিলের নেতৃত্বে একদলকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া পাঠিয়ে দেয়। তাদেরকে বলা ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের সন্ধান করার জন্য। কিন্তু তারা সেখানে গিয়ে বুঝতে পারেন তাদেরকে কৌশল ও পরিকল্পিতভাবে সেখানে পাঠিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করেছে ব্রিগেডিয়ার শফি। মেজর খালেদ মোশাররফ তাঁর কোম্পানিকে ক্যাপ্টেন সাফায়াত জামিলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্রাক্ষণবাড়িয়া যাওয়ার নির্দেশ দেন।। এদিকে ক্যাপ্টেন সাফায়েত জামিল ২৭ মার্চ সকালে লেঃ কর্নেল খিজির হায়াত খান, মেজর সাদেক নেওয়াজ সহ অন্যান্য অবাঙালি অফিসারকে গ্রেফতার করে বাঙালি অফিসার গ্রেফতার ও নিরস্ত্র করার চক্রান্ত প্রতিহত করেন। মেজর খালে ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে পৌছেই বাঙালি সৈন্য ই.পি. আর পুলিশ আনসার ও মুজাহিদ সহ উপযুক্ত বেসামরিক লোকদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। খালেদ মোশাররফ প্রথম দু’টো কোম্পানীকে ভৈরব বাজারে পাঠান। অপর একটি দলকে কুমিল্লার দিকে অগ্রসর হতে বলে এবং মেঘনার পূর্ব পাড়ে একটি প্রতিরক্ষা ব্যুহ তৈরির ব্যবস্থা করেন। তিনি এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও লুৎফুর হাই সাচ্চু সহ প্রমুখ রাজনৈতিকতার কথা ব্যাখ্যা করেন। তারা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বাঙালী সেনাদের জন্য সাহায্য সংগ্রহের আশায় আগরতলা চলে যান। এসময় খালেদ মোশাররফের অগ্রবর্তী সৈন্যদের সঙ্গে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার দিকে অগ্রসরমান পাকসেনাদের লড়াই হয় কোম্পানীগঞ্জে। এতে পাকসেনাদের অনেক হতাহত হয় এবং পাকসেনারা কুমিল্লা সেনানিবাসের দিকে ফিরে আসতে থাকে। নায়েব সুবেদার জলিলের নেতৃত্বাধীন ৪র্থ বেঙ্গলের জন পঞ্চাশেক সৈন্য কুমিল্লার দক্ষিণে জাঙ্গালিয়া ইলেকট্রিক গ্রীডে প্রহরায় ছিল সেই সব সৈন্যরা নিকটবর্তী গ্রামে অবস্থান নেয় এবং নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে (এর পূর্বে তারা বিমানবন্দরে আক্রমণ করেছিল) খালেদ মোশাররফ তাদের লালমাই হিলের মধ্যপ্রান্তে টেম্পলপাহাড়ে প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ার নির্দেশ দেন। তিনি আরো নির্দেশ দেন যে, কুমিল্লা থেকে পাকবাহিনী লাকসাম, নোয়াখালী কিংবা চাঁদপুরের দিকে অগ্রসর হলে তাদের যেন অ্যাম্বুশ করে এবং বাঁধা দেয়। খালেদ মোশয়াররফ কুমিল্লাহ শহরের বিবির বাজারে এক জায়গায় প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলেন। এদিকে তাদের উদ্দিন ঠাকুর এবং লুৎফুল হাই সাচ্চুর প্রচেষ্টায় বন্ধুরাষ্ট্রের কিছু সাড়া পাওয়া যায়। খালেদ মোশাররফ আগরতলা জেলার প্রশাসক মিঃ সাইগলের সঙ্গে সাক্ষাত করে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি পান।
৮ এপ্রিল ছাত্র যুবক বাঙালি সৈনিকস ময়নামতি পশ্চিম অংশের কালীরবাজার নামক স্থান থেকে গেরিলা পদ্ধতিতে আক্রমণ চালালে প্রতিউত্তরে পাকবাহিনী দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা অবিরাম বর্ষণ করে। আর তাদের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা সেখান থেকে উঠে আসে। ১০ এপ্রিল বরুড়ায় মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারে কুমিল্লা বিমান বন্দরে রসদ নিয়ে প্রতিদিন একটি অভ্যন্তরীন বিমান ঢাকা থেকে আসে। বরুড়ার মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি একটি বেবিটেক্সি নিয়ে পদুয়ার বাজার থেকে বিমান অবতরণের সময় আক্রমণ চালায়। রেঞ্জের বাহিরে থাকায় আক্রমণ ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে পাকিস্তানী বাহিনীর সৈনিকরা মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা ধাওয়া করে। তখন সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা পুরান কাদবার সিরাজুল ইসলাম মৈসাগং বাড়ির ধানের গোলাতে শত্রুপক্ষের দৃষ্টির বাহিরে আত্মগোপন করে। সেখান থেকে পাকবাহিনী সিরাজকে ধরে নিয়ে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। সিরাজ বরুড়া প্রথম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। খালেদ মোশাররফ বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক কোম্পানি সৈন্য মেজর ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে কুমিল্লা চাঁদপুর সড়কের লাকসামের কাছে পাঠান। ১১ এপ্রিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ৬৫ টি কনভয়কে এ কোম্পানি অ্যাম্বুশ করে। এতে করে ৫টি গাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। বাকি গাড়িগুলো কুমিল্লাতে ফিরে আসে। নায়েব সুবেদার জলিলকে নেতৃত্বাধীন ৪র্থ বেঙ্গলের ঐ সৈন্যদল পরিচালনার দায়িত্ব সুবেদার জলিলকে দেয়া হয়। আলীশ্বরে এ কোম্পানি দপ্তর স্থাপন করে, সেখানে ১৪ এপ্রিল পাকবাহিনী একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাটালিয়ান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঙালি সৈন্যরা এর সমুচিত জবাব দেয়। এ যুদ্ধে অসংখ্য পাকসেনা নিহত হয়। পাকবাহিনীর আর্টিলারী আক্রমণে টিকতে না পেরে ৪র্থ বেঙ্গলের সৈন্যরা পিছু হটে যায়।
কুমিল্লা থেকে ১৫/১৬ এপ্রিল পাকবাহিনীর বিরাট এক কনভয় প্রায় ৩০টি গাড়িতে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লাকসামের দিকে যাচ্ছিল। লেঃ মাহবুবের নেতৃত্বে ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের ‘বি’ কোম্পানির সৈন্যরা শত্রুসেনার এ দলটিকে দুপুর বারোটায় জাঙ্গালিয়ার কাছে অ্যাম্বুশ করে। এই অ্যাম্বুশে পাকসেনাদের যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ ঘন্টা স্থায়ী হয়। পাকসেনারা গাড়ি থেকে নেমে অ্যাম্বুশ পার্টিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে কিন্তু সৈন্যদের সাহসিকতা ও কৌশলের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষে লেঃ মাহবুর এবং লেঃ দিদার যথেষ্ট কৌশলের এবং যুদ্ধ নিপুণতার পরিচয় দিয়েছিলেন। লেঃ মাহবুব তার সৈন্যদের নিয়ে রাস্তার পূর্ব পাশে অ্যাম্বুশ করে ওঁৎ পেতে বসে ছিল। যখন শত্রুদের কনভয় তাদের অ্যাম্বুশের মধ্যে পড়ে যায়, তখন সে তাদের উপর তার লোকজন দিয়ে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে একটা গাড়ি রাস্তা থেকে পড়ে যায়। বাকি গাড়িগুলি থেকে পাকসেনারা লাফালাফি করে নিচে নামার চেষ্টা করে। যে সব পাকসেনা গাড়ি থেকে ভালভাবে নামতে পারে তারা রাস্তার পশ্চিম দিকে গিয়ে একত্রিত হয় এবং লেঃ মাহবুবের উপর আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়। এদিকে লেঃ দিদারুল আলম রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য নিয়ে তৈরি ছিল। তিনি পাকসেনাদের উপর হামলা চালান। এভাবে দু’দিক থেকে আক্রান্ত হয়ে শত্রুদের মনোবল একেবারেই ভেঙ্গে যায়। ফলে মৃতদেহ ফেলে রেখেই তারা কুমিল্লা শহরের দিকে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী ১৪ এপ্রিল বরুড়াতে প্রথম প্রবেশ করে। সদর বাজার, তলাগ্রাম ও অর্জুনতলা গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্ষণ হত্যাযজ্ঞ চালায়। স্কুল শিক্ষক যোগেস ভাওয়াল ও তার বৃদ্ধমাতা, সুরেন্দ্র নাথ, বনমালী, সুরেন্দ্র দত্ত, আবদুল বারিককে হত্যা করে ১৫/২০ টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। নগেন্দ্র নাথের স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যায়। আর একজনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
১৯ এপ্রিল পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাহিনী নিয়ে মেজর ইমামুজ্জামানের বাহিনীর উপর বাগমারায় আক্রমণ চালায়। দুই দিন পর্যন্ত তীব্র প্রতিরোধের পর টিকতে না পেরে ইমামুজ্জামানের বাহিনী পিছু হটে। যুদ্ধে পাকসেনাদের ২৭০ জন মারা যায়। ২৮ এপ্রিল পাকহানাদার বাহিনী মৈধপুর, সিগুর বেউলাইন, আড্ডা গ্রামে স্থানীয় দালালদের নিয়ে লুণ্ঠন, হত্যা, অগ্নিসংযোগ করে। একইদিনে আড্ডাসহ বিভিন্ন গ্রামে ১০ জন লোককে হত্যা করে। বেডলাইন গ্রামে জনৈক মহিলাকে ধর্ষণ করতে বাঁধা প্রদান করলে বেয়নেট দিয়ে তার যৌনাঙ্গে আঘাত করে। স্বাধীনতা সংগ্রামকে সুশৃংখল ও সুপরিকল্পিত ভাবে পরিচালনার জন্য মুজিব নগর সরকার গঠিত হলে সরকার আঞ্চলিক কমিটি গঠন করে। কুমিল্লা ছি পূর্বাঞ্চলীয় জোণ-১ এর অধীনে। এর চেয়ারম্যান ছিলেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহম্মদ চৌধুরী, আঞ্চলিক প্রশাসক ছিলেন রকিব উদ্দিন আহম্মেদ। সদস্য ছিলেন কুমিল্লার জহিরুল কাউয়ুম এবং মিজানুর রহমান চৌধুরী। রাজনৈতিক দিকে ছাত্র সংগঠনের গুরুত্ব ছিল। এ সংগঠনের প্রধান ছিলেন কুমিল্লার আবদুল কুদ্দুস মাহন এবং কুমিল্লা জেলা প্রাধান ছিলেন সৈয়দ জোউর রহমান ও মাইনুল হুদা। যোগাযোগ ব্যবস্থা দৃঢ় করতে লিয়াজো কমিটি গঠিত হয়। ২নং সেক্টরে লিয়াজো অফিসার ছিলেন কুমিল্লা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক খোরশেদ আলম এম, এনএ। স্বাধীনতা সংগ্রাম তীব্র হওয়ার সাথে সাথে কুমিল্লার ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, কৃষক, শ্রমিক, রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের আবাল বৃদ্ধ বনিতা নির্বিশেষে হাজার মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহনের জন্য এবং হানাদারদের নির্মম অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে। যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার অব্যবহিত পড়ে অর্থাৎ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় হতেই পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাদেশ সরকার এবং তৎকালীন লিবারেশন কাউন্সিল ভারত সরকারের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে শরণার্থীদের জন্য আশ্রয় শিবির স্থাপন করার সাথে সাথে বাংলাদেশের ভেতর থেকে আগত বিভিন্ন পর্যায়ের অস্ত্র প্রশিক্ষণার্থী লক্ষ লক্ষ জুবকের জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক যুবকদের জন্য তিন ধরনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়। (১) অভ্যর্থনা কেন্দ্র (২) যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (২) সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। বলা বাহুল্য কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়াও অন্যান্য স্থানে স্থাপিত কাম্পের অধিকাংশ কর্মকর্তাই ছিলেন কুমিল্লার। যুব শিবিরের প্রকল্প সমন্বয়কারী ছিলেন মাহাবুবুল আলম, পরিচালক প্রশিক্ষণ ডা. হাবিবুল রহমান, রাজনৈতিক নেতা অধ্যাপক নেতা অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী এম. এন. এ মুজাফফর আলী এম.পি. এ খালেদ মুহম্মদ আলী এম. এন.এ বজলুর রহমান, উপ-পরিচালক ও প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী অধ্যাপক দেবব্রত দত্ত গুপ্ত। হিসাব রক্ষণ অফিসার ছিলেন মোশাররফ হোসেন। ইয়ুথ ট্রেনিং ক্যাম্পগুলো সুস্থভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করা হয়। প্রতিটি ক্যাম্পে একজন ক্যাম্প প্রধান, একজন উপ-প্রধান, ২ জন তত্ত্বাবধায়ক, ২ জন ছাত্র প্রতিনিধি, ২জন স্বাস্থ্য অফিসার, ৪জন পলিটিক্যাল মটিভেটার, ৪জন ইনষ্ট্রাকটর ছিলেন। এসব ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন সাব সেক্টরের অধীনে আসতেন। এরা দেশে ও সীমান্তে গেরিলা তৎপরতা চালাতেন। ২নং সেক্টরের অধীনে ৬টি সাব সেক্টর ছিল। এর মধ্যে শালনদী সাব সেক্টর কুমিল্লা বুড়িচং এলাকায়, মতিনগর সাব সেক্টর গোমতীর বাঁধ থেকে কোম্পানীগঞ্জ পর্যন্ত, নির্ভয়পুর সাব সেক্টর লাক্সাম পর্যন্ত, রাজনগর সাব সেক্টর লাকসামের দক্ষিণ এলাকায় অপারেশন চালাতো। এসব সাব সেক্টরগুলোতে উল্লেখিত এলাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলাতে আক্রমণ চালাতো। নির্ভয়পুর ছাড়াও নদীর এপাড়ে ছিল বক্সনগর, ধনপুর সাব সেক্টর ও বিবির বাজার ডিফেন্স। বিবির বাজার এফ এফ প্লাটুনের কমান্ডার ছিলেন ক্যাপ্টেন রেজা। অভার অল চার্জে ছিলেন ক্যাপ্টেন আকবর হোসেন। বক্সনগর সাব সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন ইকবাল আহমেদ বাচ্চু। ২নং সেক্টরের অধীনে প্রায় ৪ হাজার সৈন্য ছাড়াও ৩০ হাজার গেরিলা ছিল ক্যাপ্টেন হায়দারের নেতৃত্বে।
[১৮] আবুল কাশেম হৃদয়

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত