You dont have javascript enabled! Please enable it!

কুমিল্লা শহরে গেরিলা হামলা

জুন মাসেই পাকিস্তানী সেনারা কুমিল্লা শহরে শাসনকার্য পুনরায় স্বাভাবিক করার জন্য সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেয়। সরকারি অফিসে ভালভাবে চালানোর জন্য তাঁরা সরকারি কর্মচারিদের বাধ্য করে। শহরে দোকান ও যানবাহন চালু করার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাকিস্তানীদের এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ করার জন্য ৪ জন গেরিলার একটি দল ৬ জুন গোমতী নদী পার হয়ে কুমিল্লা শহরে আসে। এ দলটির সঙ্গে ছিল গ্রেনেড ও ষ্টেনগান। তিন দিনে শহরে বিভিন্ন জায়গায় গুপ্ত অবস্থানে গেরিলারা নিজেদের ঘাঁটি গড়ে। কুমিল্লা শহরে বিভিন্ন জায়গায় পাকসেনাদের টহলদার দলগুলি কর্মাস ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, জজকোর্ট প্রভৃতি স্থানে পাকদের অবস্থানের ওপর পর পর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর ফলে একজন পাকসেনা নিহত ও ৫ জন আহত হয়। ঐ দিনই ৭ জন রেঞ্জারের একটি দলকে তারা আক্রমণ করে। এতে দুই জন মিলিশিয়া নিহত হয় এবং পাকদের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর কয়েকদিন পর ২১ জন সকালে গেরিলারা একটি আর.আর রাইফেল বয়ে আনে। তারা কুমিল্লা বিমানবন্দরে পাকসেনাদের অবস্থানে ও শহরের উপকণ্ঠে গোলাবর্ষণ করতে থাকলে পাকিস্তানীরা দিশেহারা হয়ে যায়। এ সব কার্যকলাপের ফলে কুমিল্লা শহর ও তার নিকটবর্তী এলাকার লোকেরা আবার সাহস ফিরে পায়। অনেক শহর থেকে বাইরেও চলে যায়। এ সময় আক্রমণের ফলে পাকিস্তানীদের শাসন ব্যবস্থা চালু করার প্রচেষ্টা বহুলাংশে ব্যর্থ হয়। ১১ জুন এই গেরিলা দলটি জাঙ্গালিয়ার কাছে মাইন পুঁতে একটি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত করে।
[১৮] আবুল কাশেম হৃদয়

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ কোষ ষষ্ঠ খণ্ড- মুনতাসির মামুন সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!